বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাডুবিতে নারীসহ চার রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্যসহ আরও বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম উপকূল এলাকা থেকে ভেসে আসা রোহিঙ্গাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় টেকনাফে নৌকাডুবির ঘটনায় নারী, পুরুষ, শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি।
স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন মাছ ধরার নৌকায় শাকের মাঝির নেতৃত্বে মাঝিমাল্লারা রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটি থামানোর সংকেত দেন সমুদ্রে।
পরে ওই নৌকাতে ওঠেন বিজিবি সদস্য। এ সময় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলে ও বিজিবি।
পরে নিখোঁজ বিজিবির সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের সন্ধানে সাগরে তল্লাশি চালানো হয়। ডুবে যাওয়া নৌকায় অর্ধশতাধিক লোকজন ছিল বলে জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, “সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা ডুবে যায়। নৌকার তলা ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার অভিযানে যান এবং শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। উদ্ধার অভিযানে যাওয়া একজন বিজিবি সদস্য সমুদ্রে নিখোঁজ হন। নৌকাটি উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে সমুদ্রে ভাসমান মরদেহ দেখা যাচ্ছে।”
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।