কানাডায় অবতরণের সময় উল্টে গেল যাত্রীবাহী বিমান, আহত ১৮

অবতরণের সময় উল্টে যায় বিমানটি। ছবি : বিবিসি
অবতরণের সময় উল্টে যায় বিমানটি। ছবি : বিবিসি

কানাডার টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় যাত্রীবাহী একটি বিমান উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। তবে বিমানের সব যাত্রী ও ক্রু বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী।

স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

গ্রেটার টরন্টো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী ডেবোরা ফ্লিন্ট জানান, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি এবং আহতদের বেশিরভাগের অবস্থা তেমন গুরুতর নয়।

দুর্ঘটনায় এক শিশু এবং দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বরফে ঢাকা রানওয়েতে উল্টে পড়ে আছে বিমানটি, এবং এর অন্তত একটি ডানা নেই।

টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৪৮১৯, যা যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিস থেকে টরন্টো আসছিল। বিমানে ৮০ জন আরোহী ছিলেন, যাদের মধ্যে ৭৬ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য। আহত ১৮ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অন্টারিওর এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি তিনটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছে একটি শিশু, ৬০ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৪০ বছর বয়সী এক নারী।

দুর্ঘটনার পরপরই বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫টার দিকে ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু হয়। তবে দুটি রানওয়ে কয়েকদিনের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কানাডার পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (টিএসবি) দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি দল মোতায়েন করেছে। বিমানবন্দরের দমকল প্রধান টড অ্যাটকিন সোমবার রাতে জানান, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তারা যা পেয়েছেন তা হলো– রানওয়েটি শুকনা ছিল এবং ক্রসউইন্ডের (পার্শ্বীয় বাতাস) মতো কোনো পরিস্থিতি ছিল না।

ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, যাত্রীরা উল্টে পড়া বিমানের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছেন এবং দমকল বাহিনী বিমানটিতে ফোম স্প্রে করছে। ভিডিওতে একজন যাত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আমরা টরন্টোতে পৌঁছেছি, আমাদের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, এটি উল্টে পড়ে আছে। বেশিরভাগ মানুষ নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন।”

ঘটনার পর টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরের ফ্লাইট উড্ডয়ন সূচিতে ব্যাপক বিলম্ব ও বাতিলের ঘটনা দেখা গেছে। অনেক যাত্রী কয়েক দিনের জন্য টরন্টোতে আটকে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড এবং মিনেসোটা গভর্নর টিম ওয়ালজ দুর্ঘটনায় আহতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং জরুরি পরিষেবার কর্মীদের প্রশংসা করেছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads