সমন্বয়ক পরিচয়ে সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা দখল করা সেই মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুরপাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিষ্টির বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলা রয়েছে।
মিষ্টি জেলার বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী গ্রামের মাজহারুল ইসলামের মেয়ে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
গত শনিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম শহরে ছোটকালীবাড়ির ছয়তলা ভবনের তালা ভেঙে দখলে নেন মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি। সেই বাড়িতে ২০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে রাখা হয়।
দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিষ্টিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে গভীর রাতে মুচলেকা দিয়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি পান তিনি।
এদিকে, বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে ৯ মার্চ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পর মিষ্টিকে রোববার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রওশন আরা খান বলেন, “মিষ্টি আমার কাছে প্রথমে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি। বাড়িটি আমার নামে, স্বামীর নামে নয়।”
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, জোহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।