দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই মঙ্গলবার বাংলাদেশের বেশিরভাগ সংবাদপত্র প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি ২০০৯ সালে ঢাকার পিলখানায় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ সংক্রান্ত সংবাদও গুরুত্ব পেয়েছে কিছু সংবাদপত্রে। এর বাইরে অর্থনীতি ও নতুন দলের আত্মপ্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কিছু সংবাদপত্র। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মঙ্গলবার কোন সংবাদপত্রের কী শিরোনাম এসেছে।

প্রথম আলো
দেশে অবনতি হওয়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘অপরাধীরা বেপরোয়া, আতঙ্কে মানুষ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। তারা মানুষকে জিম্মি করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে, গুলি করে অথবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাহীনতাবোধ ও আতঙ্ক।
সর্বশেষ গত রোববার রাতে রাজধানীর বনশ্রীতে বাসায় ফেরার সময় এক সোনা ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়।
শুধু বনশ্রীর ঘটনা নয়, বিগত কয়েক মাসে একের পর এক অপরাধের ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক কালে ডাকাতি ও দস্যুতার (ছিনতাই) ঘটনায় মামলা বেড়েছে। গত জানুয়ারিতে দেশে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৪২টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৯টি বেশি (৬৯ শতাংশ)। ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় গত ডিসেম্বরে মামলা হয়েছে ২৩০টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৫টি (৭০ শতাংশ) বেশি।

কালের কণ্ঠ
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠও। ‘সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, আতঙ্কে মানুষ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে একের পর এক নানা অপরাধ ঘটে চলেছে। ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি থেকে খুন, ধর্ষণও হচ্ছে অবলীলায়। সারা দেশে চলমান ‘ডেভিল হান্ট’ কর্মসূচির মধ্যেও থেমে নেই অপরাধচক্রের এসব অপকর্ম। প্রকাশ্যে, জনারণ্যেও এসব ফৌজদারি অপরাধ ঘটছে।
অপরাধীরা কাউকেই তোয়াক্কা করছে না; বরং দিনে দিনে তারাও আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অব্যাহত এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। অবিলম্বে তাদের জোরদার টহল ও নজরদারি শুরু হচ্ছে।
বিশেষ করে রাতের বেলা রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতেও টহল দেবে যৌথ বাহিনী। এ ছাড়া রাজধানীর প্রতিটি প্রধান সড়কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী চেকপোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রয়োজনে বিজিবিকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

সমকাল
দেশজুড়ে অবনতি হওয়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকালও। ‘ছিনতাই খুন লুটে ভয়ার্ত মানুষ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাসড়কে বাসের ভেতরে অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ। মধ্যরাতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে সোনাদানা ছিনতাই। দিনদুপুরে খোদ রাজধানীতে চলন্ত বাসে অস্ত্র ঠেকিয়ে লুটতরাজ। প্রান্তিক জনপদে ট্রিপল মার্ডার। বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর গ্যাং। ‘ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযানের মধ্যেও খুনোখুনি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, মব ভায়োলেন্স– এমন কোনো অপরাধ নেই, যা ঘটছে না। অপরাধের নানা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে ভীতি। অভিযানের মধ্যেও অপরাধীরা যখন এমন বেপরোয়া, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে উঠেছে নানামুখী প্রশ্ন।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেশি পরিচালিত হচ্ছে বলে দৃশ্যমান। অভিযানে এরই মধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল যারা, অধরা তাদের ধরা। সংঘবদ্ধ অপরাধে যারা জড়িত, তাদের মধ্যে ধারণা জন্মেছে– তারা অভিযানের ফোকাসে নেই। এ কারণে অভিযানের পূর্ণ ফল আসেনি। প্রতিদিন ঘর থেকে বেরিয়ে আবার নিরাপদে ফিরতে পারবে কিনা, অনেকের মধ্যে এমন শঙ্কা ভর করেছে। আবার ঘরে ফিরে সেখানেও ডাকাত-চোর আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।

ইত্তেফাক
পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির হত্যাযজ্ঞের ঘটনা নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে ছেপেছে ইত্তেফাক। ‘১৬ বছর পর ষড়যন্ত্র উন্মোচনের চেষ্টা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে সেনা অফিসারদের নৃশংসভাবে হত্যাযজ্ঞের ১৬ বছর আজ। শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই দিনটিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করেছে। পিলখানার ভেতরে সেনা অফিসারদের হত্যাকাণ্ডের পেছনে কি ছিল ষড়যন্ত্র? কেন এতগুলো অফিসারকে জীবন দিতে হলো? এই ষড়যন্ত্র উন্মোচনের চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য গঠন করা হয়েছে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’। এ পর্যন্ত কমিশন ৩৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে। শহীদ সেনা পরিবারের পক্ষ থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে গঠন করা হয়েছে ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’।
ঘটনার সময় সেনা প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইউটিউবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ওই দিনের ঘটনার অনেক কিছুই জানিয়েছেন। তার দাবি, তদন্তে সরকার তেমন সহায়তা করেনি। তবে পেছনের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

যুগান্তর
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তরও। ‘জনগণের নিরাপত্তা কোথায়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন কোনোভাবেই সরকার সামাল দিতে পারছে না। নানাভাবে চাঁদাবাজি ছাড়াও একের পর এক লোমহর্ষক ছিনতাই, ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেই চলছে। উত্তরায় প্রকাশ্যে রিকশা আরোহীকে রামদা দিয়ে কোপানো ঘটনার রেশ না কাটতেই বাসের মধ্যে তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো পৈশাচিক ঘটনা ঘটে ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে। এর একদিন পর রোববার রাজধানীবাসী এক বিভীষিকাময় রাত দেখল। মাত্র দুঘণ্টার ব্যবধানে রাত ১১টায় বনশ্রীতে বাসার সামনে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি ও ছুরিকাঘাত, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে দুই রিকশা আরোহীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট এবং ধানমন্ডিতে ডাকাত আতঙ্কসহ নানান ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর বাইরেও নানা স্থানে ছিনতাইকারী চক্র হানা দিয়েছে।

বণিক বার্তা
সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেও ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘জানুয়ারিতে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি বেড়েছে ১৭%’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় ৮ আগস্ট। ওই সময় থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অনেকের বক্তব্যেই ভারতবিরোধিতা ও এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা উঠে এসেছে। নাগরিক পর্যায়েও ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমানোর ডাক দিয়েছেন অনেকেই। যদিও দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরো বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
ভারতে অর্থবছরের হিসাব শুরু হয় এপ্রিল থেকে। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ ভারতীয় অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (এপ্রিল-জানুয়ারি) বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য রফতানির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যদিও এ সময় বাংলাদেশে ভারতের পণ্য রফতানি বা ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর গত জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য রফতানি সংকুচিত হয়েছে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ। যদিও একই সময়ে দেশটি থেকে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

নয়াদিগন্ত
দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে সরকারের পদক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়াদিগন্ত। ‘যৌথবাহিনীর টহল শুরু ঢাকায়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশন আরো জোরদার করা হচ্ছে। গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশন আরো জোরদার করা হবে। অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে আরো টহল বাড়ানো হবে, চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হবে।

দেশ রূপান্তর
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তরও। ‘ভয় জেঁকে বসেছে নগর জুড়ে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলোসহ বিভিন্ন মহল থেকে। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক ঘটছে দিনে-দুপুরে ছিনতাই, চলন্ত বাস বা বাসাবাড়িতে ডাকাতি, গুলি করে বা কুপিয়ে মানুষ হত্যা ও ধর্ষণের মতো জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। সব মিলিয়ে আতঙ্ক ভর করেছে নগরবাসীর মনে। সন্ধ্যার পর রাত গভীর না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে নগরীর বহু অলিগলি। দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যদের শিথিলতার সুযোগে অপরাধ বাড়ছে অভিযোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল সোমবার দিনভর বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার পদত্যাগে আলটিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

আজকের পত্রিকা
যৌথবাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলার মধ্যেই দেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে মানুষের আতঙ্কিত হয়ে পড়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘পথে নামতে মনে ভয়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গুলি, হামলা, ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। পুলিশের টহল তেমন না থাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভাবতে হচ্ছে মানুষকে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা গতকাল আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ হয়েছে।

ডেইলি স্টার
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের দিনক্ষণ নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার। ‘Uprising party set for launch on Friday’শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে আগামী শুক্রবার বিকাল তিনটায়, ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে। তখন আহ্বায়ক কমিটির বিস্তারিত তথ্য ও সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শুরু হওয়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। ২৮শে ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় মানিক মিয়ায় এ দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।”