হোয়াইট হাউসে ফেরার অপেক্ষার মধ্যে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ও কর্মকর্তা বোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যে এসব প্রাণনাশের হুমকি এসেছে বলে তথ্য দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা হুমকিগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবিসি এক খবরে জানিয়েছে, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসাবে ট্রাম্পের মনোনীত নিউ ইয়র্ক রাজ্যের রিপাবলিকান এলিস স্টেফানিকবোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন।
স্টেফানিক বলেন, তিনি, তার স্বামী এবং তিন বছরের ছেলে ওয়াশিংটন থেকে নিউ ইয়র্কের সারাটোগা কাউন্টিতে যাওয়ার সময় হুমকির বিষয়টি জানতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টেফানিকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার সকালে তার বাসায় বোমা হামলার হুমকি এসেছে।
পুলিশ দ্রুতই এ বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্টেফানিক।
ট্রাম্পের ট্র্যানজিশন টিমের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, কয়েকজনকে নিশানা করা হয়েছে এবং আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তারা দ্রুতই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে।
তবে কারা এই হুমকি পেয়েছেন বা কীভাবে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি লেভিট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নিউ ইয়র্কের সাবেক মার্কিন প্রতিনিধি লি জেলডিন, যাকে ট্রাম্প পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার প্রধান পদের জন্য বেছে নিয়েছেন, সেই জেলডিনও বুধবার বলেছেন তিনি ও তার পরিবারকে হুমকি পেয়েছেন।
এক্সে এক বিবৃতি পোস্ট করে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনপন্থি চিন্তাধারার বার্তা দিয়ে একটি পাইপ বোমা হামলার হুমকি আজ আমাদের বাসায় পাঠানো হয়েছে। আমি এবং আমার পরিবার সেসময় বাসায় ছিলাম না। এ ঘটনার পর আমরা এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করছি।”
২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অবশ্য হুমকির বিষয়ে ট্রাম্প এখনও কোনও মন্তব্য করেননি, সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এ সংক্রান্ত পোস্ট দেখা যায়নি।