ঢাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দিল্লির বিবৃতি

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের হাইকমিশনারকে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেসব দাবি জানিয়েছে, তা নাচক করে দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু দাবি তুলে ধরে। এ সময় বাংলাদেশ সরকার কিছু বিষয়ে ভারতের কাছে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরে।

এর জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস নোটে দেওয়া বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ভারত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভূক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য ভারত সবসময়েই তার অবস্থান জানিয়ে আসছে।”

“বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ভারত কখনোই তার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেয়নি।”

“আমরা আশা করছি, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার,” বলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে বিকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানির সুযোগ দেওয়া এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টার অভিযোগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছিল,ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানিয়ে নিয়মিত উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এসময় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আদালতের দেওয়ার দণ্ডের মুখোমুখি করতে দ্রুত তাদের দেশে প্রত্যার্পণেরও আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের একটি সংগঠনের নেতা নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনরা যেন পালিয়ে ভারতে আশ্রয় না নিতে পারে সে বিষয়েও ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে দেশটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনার বলেছে, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতাও দিতে তার দেশ প্রস্তুত।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads