সীমান্ত ইস্যুতে নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করেছে ভারত।
সোমবার একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা ইউএনবি এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তে বেড়া নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করার পরদিনই এ পদক্ষেপ নিল ভারত।
রোববার আধা ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমাদের দুটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ ও বিজিবি এ বিষয়ে যোগাযোগ করছে।”
সীমান্তে অপরাধ দমনে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী যে সমঝোতা গড়ে তুলেছে তা সমবায় পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রণয় ভার্মা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর মধ্যে একটি।
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ করে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও।
তিনি বলেছিলেন, “এ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে একটা আলোচনা হয়েছে। আমাদের বিজিবি ও জনগণ খুব শক্ত অবস্থান নেওয়ায় এই জায়গায় থেকে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে (ভারত)।”
১৯৭২ সালের ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে মৈত্রী চুক্তি হয়, তার আলোকে ১৯৭৫ সালে সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
ওই নীতিমালার প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভেতরে কেউ কোনো ‘প্রতিরক্ষা সামর্থ্য বা ডিফেন্স পোটেনশিয়ালিটি’ আছে- এইসব জিনিস কেউ করতে পারবে না। আর ওই ১৫০ কাজের ভেতরে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে সেক্ষেত্রে একে অপরের সম্মতি নিতে হবে।