মরদেহ নেওয়া হয়নি ক্যাম্পাসে, তবুও আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে ছুটি

Dhaka University on holiday following Arefin Siddique's death

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মরদেহ ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি না মিললেও তার মৃত্যুতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে রোববার এক দিনের ছুটির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা যান।

মৃত্যুর পরই আলোচনা চলছিল শেষ বিদায় জানাতে এই শিক্ষকের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা।

তবে তড়িঘড়ি করেই জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতি’ এবং ‘তার স্বজনদের ইচ্ছায়’ মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নেওয়া হচ্ছে না। সেখানে পড়ানোও হবে না জানাজা।

শেষমেশ শুক্রবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে একটি মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা শেষে সমাহিত করা হয় আজিমপুর কবরস্থানে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মরদেহ তার নিজের ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি না মেলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদী পোস্টে ছেয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় এই শিক্ষকের এমন বিদায় মেনে নিতে পারেননি না তারা। ক্ষোভ প্রকাশ করতে ছাড়েননি তার ছাত্রছাত্রীদের বাইরে সাধারণ মানুষজনও।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন সাবেক উপাচার্য ও অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের সম্মতিতে জানাজার সময় ও স্থান সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মাইকিং, শোকবার্তা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত সব প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে।

পরিবারের সিদ্ধান্তেই অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায় বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।

এতে বলা হয়, “অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আই সি ইউ তে ভর্তি হওয়ার পর দিন ৭ মার্চ উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। ইন্তেকালের পর উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মরহুমের জানাজা ও দাফন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নেন।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads