এ যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। ‘ডন কো পাকড় না মুশকিল হি নেহি, না মুমকিন হ্যায়’। কার্যত ছয় দিন ধরে এটাই বুঝিয়ে দিয়েছে বাঘিনী জিনাত। এই দেখা যায়, পরক্ষণেই উধাও।
তিনটি রাজ্যের বন দপ্তরের কর্মীদের ঘুম তো কেড়েই নিয়েছে, আতঙ্কে ঘুমহারা স্থানীয় বাসিন্দারাও।
এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্য পাড়ি দিয়ে শনিবার পৌঁছে যায় বাঁকুড়ায়। এই দীর্ঘ পথে টোপ দিয়ে ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করলেও জিনাত ধরা দেয়নি। বন কর্মীদের পাতা জাল, নাইলন দড়ি দিয়ে জঙ্গল ঘেরা, রেডিও কলার ট্র্যাক, ট্রাঙ্কুলাইজ করার পরিকল্পনা, আগুন জ্বালানো কোনও কিছুই কাজে আসছিল না।
‘বাঘে ছুঁলে কত ঘা’ ভেবে এলাকার বাসিন্দাদেরও আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার উপক্রম।
উড়িষ্যা-ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গের যে পথ দিয়ে গিয়েছে সেই সব এলাকার বাসিন্দারা তটস্থ ছিলেন এই কটা দিন।
তবে আশার কথা হলো, কয়েক দিন ধরে সবাইকে ঘোল খাইয়ে অবশেষে রোববার পড়ন্ত বিকেলে ঘুমিয়ে পড়ল অবসন্ন জিনাত।
ব্যাঘ্রাচার্যের বৃহল্লাঙ্গুলের খেলা শেষ। নাটকীয় তেজ দেখানোর পর অবশেষে তিন রাজ্যের বন দপ্তরের উদ্যোগে বাঘ-বন্দি।
বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহির জঙ্গলে গুলিতে তেজ কমে আসার পর উদ্ধার করা হলো জিনাতকে।
দাপিয়ে খেলা তিন বছরের জিনাত এখন শিশুর মতো তন্দ্রাচ্ছন্ন। তাকে উড়িষ্যা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বনকর্মীরা।
জিনাতকে গুলি করা হলেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে বলে বন কর্মীদের ভাষ্য।
এ সংক্রান্ত আরও খবর: