বাঁকুড়ার পর কোথায় গন্তব্য জিনাতের?

বাঘিনি জিনাতের পরবর্তী গন্তব্য কোথায়? ছবি: আনন্দবাজার থেকে নেওয়া
বাঘিনি জিনাতের পরবর্তী গন্তব্য কোথায়? ছবি: আনন্দবাজার থেকে নেওয়া

উড়িষ্যার সিমলিপালের একটি প্রকল্প থেকে পালিয়ে গিয়ে বন কর্মীদের রীতিমতো ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে জিনাত নামের এক বাঘিনী। ধোপে টেকেনি টোপ; একের পর এক এলাকা টপকে দুই জেলার পাহাড়-জঙ্গল ঘুরে সেটি আস্তানা গেড়েছে বাঁকুড়ায়।

জিনাতের এমন অপ্রতিরোধ্য গল্প এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মুখে মুখে।

বন দপ্তরের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, শনিবার সকালে কুমারী নদী পার করে কাঁসাইয়ের পার ধরে এগিয়েছে জ়িনাত। পুরুলিয়ার মানবাজার-১ ব্লকের ধানাড়া পেরিয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে সে।

খবর পেয়ে জেলা বন দপ্তরের কর্মীরা তৎপর হলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি তার। কাঁসাই জলাধার পার করে দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলে জিনাত ঢুকে যেতে পারে বলে বন দপ্তরের আশঙ্কা।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ডাঙরডি মোড়ে ঘেরা জালের ফাঁক দিয়ে পালিয়ে যায় সে।

বন দপ্তরের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এখনও পুরুলিয়ার গোপালপুর মানবাজার এলাকায় রয়েছে বাঘিনী।

পুরুলিয়ার কংসাবতী দক্ষিণ ডিভিশনের বিভাগীয় বন সংক্ষক (ডিএফও) পূরবী মাহাতো বলেন, ‘‘পুরুলিয়ার গোপালপুর মানবাজার এলাকায় জিনাতের অবস্থান মিলেছে। তবে পাশেই রয়েছে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার। বাঘিনিকে ‘ট্র্যাপ’-এ আনতে সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বন দপ্তরের কর্মীরা বাঘিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখছে।

উড়িষ্যার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে প্রথমে ঝাড়খণ্ডে ঢোকে জ়িনাত। এরপর রাজ্যের ঝাড়গ্রামের জঙ্গলপথ ধরে বাংলায় ঢোকে সে। রোববার বাঘিনী ঢোকে বান্দোয়ানে। টোপ দিয়ে ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করলেও বাঘিনী ধরা দেয়নি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার জঙ্গলে ঢুকে অভিযান চালিয়েছিলেন বনকর্মীরা। উড়িয়েছিলো ড্রোন। মানবাজার-২ রেঞ্জের ঝাটিপাহাড়ির জঙ্গলে একবার খোঁজ মিলেছিলো, তবে আটকানো যায়নি তাকে। সব বাধা টপকে জ়িনাতের গন্তব্য এখন বাঁকুড়ার জঙ্গল।

আরও পড়ুন