মাগুরায় শিশু ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার জেলা শহরের নান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাত ৮টার দিকে উপজেলার নিজনান্দুয়ালী গ্রামের হিটু মিয়ার বাড়িতে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা ওই বাড়িতে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করে স্থানীয় জনতা। রাত ৮টার দিকে তারা মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির বোনের শ্বশুর বাড়ি নান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায়। সেই বাড়িতে বেড়াতে গিয়েই শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, শিশুটির বোনের স্বামী সজিব (১৮), ভাশুর রাতুল শেখ (২০), শ্বশুর হিটু শেখ ও শাশুড়ি জাহেদা বেগম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা যায়। এরপর সামরিক হেলিকপ্টারে করে শিশুটির মরদেহ নিজে জেলা মাগুরায় নেয়া হয়। সেখানে দুইদফা জানাজা শেষে রাত ৮টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল শিশুটি। গত বৃহস্পতিবার অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই আজ শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় গত শনিবার শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার মা। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মাগুরার এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনা চলছে। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।