সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আদালতের মধ্যে হামলা শিকার হয়েছেন। এসময় তাকে বেধড়ক কিলঘুষি মারা হয়। হামলাকারীদের পুলিশ বাধা না দিয়ে আনিসুল হককে দ্রুত প্রিজন ভ্যানে তুলে দেন।
সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আদালত পুলিশ ওই হামলাকারীদের বাধা না দিয়ে বরং আনিসুল হককে নিয়ে দৌড়াতে থাকেন। কিছুক্ষণ দৌড়ে দ্রুত তাকে প্রিজন ভ্যানে তুলে দেন। এ ঘটনার ভিডিও সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে।
তবে ঘটনাটি অস্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম সাংবাদিকদের বলেন, “তাকে কেউ কিলঘুষি মারেনি। তবে কিছু আইনজীবী হুজুগে জোয়ার তুলেছিলেন। শুনানি শেষে তাকে আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”
একটি হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালতে সাবেক আইনমন্ত্রীকে হাজির করা হয়েছিল।
নিহত মো. সোলায়মান (১৯) মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর এলাকার মিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোলায়মান ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে ওই দিনই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় গত ২২ আগস্ট সোলায়মানের ভগ্নিপতি শামীম কবির বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাসহ ৫১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়।
এই মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। শুনানি শেষে তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।