শুক্রবারের পত্রিকা : ‘গ্যাস-সংকটে শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে’

Newspaper_07022025 (5)

বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক খবর দিয়ে শুক্রবার দেশের সংবাদপত্রগুলো তাদের প্রধান প্রতিবেদন সাজিয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস সংকটে শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হওয়া, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ, ঈদযাত্রা ঘিরে মানুষের দুর্ভোগের শঙ্কা, রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর বেহাল দশা, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের প্রস্তুতি না থাকা বিষয়ক খবরগুলো বেশি গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোতে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শুক্রবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

ইত্তেফাক

গ্যাস সংকটের কারণে দেশে শিল্পকারখানাগুলোতে উৎপাদন কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘গ্যাস-সংকটে শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে জ্বালানি গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর ফলে ইতিমধ্যে অনেক শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বা স্থগিত রয়েছে। চালু থাকা কারখানাগুলোও চাহিদামতো চাপে গ্যাস না পেয়ে বহুমাত্রিক সমস্যায় ভুগছে। গত দুই বছরের মধ্যে বর্তমানে আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহ তুলনামূলক বেশি হলেও স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন ক্রমে কমে যাওয়ায় শিল্পে জ্বালানি সংকট দূর হচ্ছে না।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে দৈনিক ৪১০ থেকে ৪২০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না এক দশকের বেশি সময় ধরে। তবে ৩৫০-৩৬০ কোটি গ্যাস সরবরাহ করা গেলে পরিস্থিতি মোটামুটি সামলে নেওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ২৭০ কোটি ঘনফুট বিতরণ করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বুধবার ২৮২ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এ দিন প্রায় সাড়ে ৯৮ কোটি ঘনফুট পরিমাণ গ্যাস এলএনজি থেকে সরবরাহ করা হয়।

প্রথম আলো

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় শত শত মানুষের প্রাণহানির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘গাজায় নির্বিচার শিশু হত্যা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দিন পরেই প্রথম জন্মদিন ছিল ফুটফুটে শিশু বানান আল–সালোউতের। আরেক শিশু হুর আল–সালোউতের বয়স এক বছর হয়েছে। কবে সে গুটি গুটি পায়ে হাঁটা শুরু করবে, সে অপেক্ষায় ছিলেন মা-বাবা। আর ঈদ কবে আসবে, কী কেনাকাটা করবে—তা নিয়ে ছোট্ট সালমাহ এসলিয়েহ যেন আরও চঞ্চল হয়ে উঠেছিল।

সালমাহের ঈদ আর আসবে না। হুর আল–সালোউতের প্রথম হাঁটা, আধো আধো বুলিতে কথা শোনার অপেক্ষা শেষ হবে না কোনো দিন। ইসরায়েলের নির্মম হামলা মা-বাবার কোল থেকে কেড়ে নিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজার এই শিশুদের। শুধু এই তিনজন নয়, ১৭ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ফিলিস্তিনের উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৮ হাজার শিশু।

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল যুদ্ধবিরতি। এরপর সেখানকার শিশুদের দুর্দশা কিছুটা কমেছিল। তবে গত মঙ্গলবার ভোররাতে (সাহ্‌রির আগে) গাজায় আবার নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এই হামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৫৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ২০০। যদিও বার্তা সংস্থা এএফপি প্রথম দুই দিনে ৯৭০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল।

নতুন করে হামলা শুরু করার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার বলেছিলেন, গাজায় নৃশংসতা ‘কেবল শুরু’ হয়েছে। বাস্তবেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। বিগত তিন দিনে নিহতের পাশাপাশি আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪২ জন। সব আহত ব্যক্তিকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে গাজায় এখনো টিকে থাকা হাসপাতালগুলো। অনেকেই মারা যাচ্ছেন চিকিৎসার অভাবে।

সমকাল

সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে বরাদ্দ দেওয়া বন বিভাগের জমি আবার বন বিভাগে ফিরিয়ে নিতে অন্তর্বতী সরকারের তৎপরতার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘বনের জমি বনে ফিরছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বনের ৮৭৫ একর জমির বরাদ্দ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আরও ১৩ হাজার ৫৬৭ একরের বরাদ্দ শিগগির বাতিল হচ্ছে। গত তিন দশকে সারাদেশে সরকারি ৪৫টি সংস্থাকে ১ লাখ ৬১ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এসব জমির বড় অংশে এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার সরকারি-বেসরকারিভাবে বিশ্ব বন দিবস পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘বন-বনানী সংরক্ষণ, খাদ্যের জন্য প্রয়োজন’।

পরিবেশবিদরা বলছেন, স্থাপনাকে উন্নয়নের ‘হাতিয়ার’ দেখাতে সরকারই বনভূমি দখলে মদদ দিয়েছে। এতে কমছে বনভূমি; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র। বনের জমি দখলমুক্ত করতে সরকারের শক্ত পদক্ষেপ চান তারা।

কালের কণ্ঠ

সড়কে যানজট ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঈদযাত্রায় দুর্ভোগের শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের শঙ্কা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের আনন্দ উদযাপনে রাজধানীবাসী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রিয়জনের কাছে ছুটে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে এক কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ রাজধানী ছেড়ে প্রিয়জনের কাছে যেতে পারে। তবে এবারের ঈদ যাত্রায়ও সড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার একদিকে রয়েছে যানজটের ভোগান্তি, অন্যদিকে নিরাপত্তাঝুঁকি তো আছেই।   

বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেটসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ১৫৯টি স্পটে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর বাইপাইল ও চন্দ্রা মোড়ে যানবাহনের প্রচণ্ড  চাপে রাজধানীর প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে তীব্র যানজটে ঈদ যাত্রার ভোগান্তি আরো বাড়তে পারে।

তবে যানজট নিরসনে জননিরাপত্তা বিভাগ ঈদের আগে ও পরে  চিহ্নিত স্পটগুলোয় বিশেষ নজরদারি রাখতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ করিডরগুলোর সড়ক ঈদের সাত দিন আগেই মেরামত কিংবা সংস্কার করতে বলা হয়েছে।

যুগান্তর

বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর দৈন্যদশার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘রাজনৈতিক ব্যাংক ভেঙে পড়ছেশিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাসের ঘরের মতো একের পর এক ভেঙে পড়ছে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংকগুলো। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ইতোমধ্যে ৯টির মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এসব ব্যাংকের কোনোটির খেলাপি ঋণ ৮৬ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ব্যাংক অনুমোদনের আগেই বিরোধিতা করেন ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সরকার তখন তা আমলে নেয়নি।

প্রসঙ্গত, নতুন ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় ৯টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয় স্বৈরাচার হিসাবে চিহ্নিত শেখ হাসিনা সরকার। ব্যাংকগুলো হলো-পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক), এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এসবিএসি ব্যাংক) ও মিডল্যান্ড ব্যাংক। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এখন এসব ব্যাংকে লুটপাটের প্রকৃত চিত্র ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে।

বণিক বার্তা

বিশেষজ্ঞরা আসন্ন এপ্রিলে দেশে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি বৃদ্ধির আশঙ্কা করলেও এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।  ‘এডিস মশা প্রতিরোধে কার্যকর প্রস্তুতি নেই সরকারের’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে প্রাক-বর্ষা জরিপটি বছরের এ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এবার সরকার এখনো ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রাক-বর্ষা জরিপ শুরুই করেনি। আবার ২০২৪ সালের বর্ষা-পরবর্তী জরিপের প্রতিবেদন তৈরির কাজও এখনো শেষ হয়নি।

বাংলাদেশে প্রতি বছরই বর্ষার আগে থেকে বাড়তে শুরু করে ডেঙ্গু সংক্রমণ। বৃষ্টিপাত শুরুর পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তারের অনুকূলে হওয়ায় সাধারণত এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সে হিসাবে এবারো আসন্ন এপ্রিলে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না এখনো।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারেন, এ সংক্রান্ত খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘আগে আসবেন খালেদা পরে তারেক’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী এপ্রিলে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেটা এপ্রিল মাসের যেকোনো সময় হতে পারে। জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের বাসায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। লন্ডন হাসপাতালের চিকিৎসকরা ‘হোম ভিজিট’-এর মাধ্যমে প্রতিদিনই তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকরা যখন পরিষ্কারভাবে ছাড়পত্র দেবেন তখনই তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন লন্ডন থেকে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম দেশে ফেরার পর হয়তো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশে ফিরে যাবেন।’

প্রফেসর জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শরীরের অবস্থা আল্লাহর রহমতে এখন অনেকটাই স্ট্যাবল আছে। তাঁর পুত্র তারেক রহমানের বাসায় থেকে লন্ডন হসপিটালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁরা (চিকিৎসকরা) হোম ভিজিটের মাধ্যমে এই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দেশীয় ডাক্তাররাও তাদের সঙ্গে সব সময়ই সমন্বয় করছি। আমরা আশাবাদী যে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার ইনশা আল্লাহ আরও উন্নতি হবে এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা দেশে ফেরার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারবেন। সবকিছু মিলে আশা করছি তিনি আগামী এপ্রিল মাসের যেকোনো সময়ই বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন।’

নয়া দিগন্ত

রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত উদ্যোগের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়ে নাগরিক ভাবনা জানতে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘সংস্কার না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারেশিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার শুধু সরকারের ইচ্ছার বিষয় নয়, এটি রাজনৈতিক দল এবং নাগরিকদের বহুল আকাক্সিক্ষত বিষয়। তাই সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও নাগরিক সনদ প্রণয়ন করতে হলে নাগরিকদের সোচ্চার হতে হবে। তিনি গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।

আজকের পত্রিকা

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘ঐকমত্য গঠনে সংলাপ শুরু’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।

কমিশন সূত্র বলেছে , তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে সংস্কার না নির্বাচন— এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড . মুহাম্মদ ইউনূস।

দেশ রূপান্তর

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় উপদেষ্টা পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সাজা সর্বোচ্চ ৭ বছর’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের সংজ্ঞা সংশোধন এবং বিয়ের প্রলোভন বা প্রতারণার মধ্যমে অবৈধ যৌনকর্মের সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ ছাড়া শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগির এ আইনের অধ্যাদেশ জারি হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদ এ অনুমোদন দেয়। পরে দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ের পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলোও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন