শুক্রবারের পত্রিকা : ‘রপ্তানির বিকল্প পথ কমল, বাড়বে চাপ’

Newspaper_07022025 (5)

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার হওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি নিয়ে আপাতত স্বস্তি মিললেও স্থায়ীভাবে এটি মোকাবিলায় করণীয় কী হতে পারে তা নিয়ে শুক্রবারও প্রধান প্রতিবেদন করেছে বেশ কিছু সংবাদপত্র। পাশাপাশি ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করে করা প্রতিবেদনও গুরুত্ব পেয়েছে। এর বাইরে এলএনজি কিনতে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সরকারের ৭০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার চেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শুল্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়া, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সরবরাহে সংকট এবং সমাপ্ত হওয়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে নানা প্রতিশ্রুতি মেলার খবরগুলোও গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে সংবাদপত্রগুলো। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শুক্রবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

প্রথম আলো

বিশ্ববাণিজ্য টালমাটাল করে দেওয়া পাল্টা শুল্ক থেকে আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরে আসার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘স্বস্তির সঙ্গে আছে অনিশ্চয়তাও’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক বা রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এরই মধ্যে ফিরতে শুরু করেছে স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশ। তবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বহাল থাকায় একধরনের অনিশ্চয়তাও আছে।

অন্যান্য দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আপাতত স্থগিত করলেও চীনের প্রায় সব পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগের দিন চীনের পণ্যে শুল্ক ১২৫ শতাংশ করার কথা বললেও গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানায়, এটা প্রায় সব পণ্যে হবে ১৪৫ শতাংশ। দেশটির ওপর এই শুল্ক ইতিমধ্যে কার্যকরও হয়েছে। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিকারকেরা মনে করেছেন, এই শুল্ক শেষ পর্যন্ত বহাল থাকলে চীন থেকে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সরবে। এতে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশকে এতোদিন দিয়ে আসা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হয়ে যাওয়ার খবর দিয়ে দ্বিতীয় প্রধান প্রতিবেদন করেছে পত্রিকাটি। ‘রপ্তানির বিকল্প পথ কমল, বাড়বে চাপ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে এত দিন বিশ্বের ২৩টি দেশে রপ্তানি হয়ে আসছিল বাংলাদেশের পণ্য। বাংলাদেশকে একটানা প্রায় সাড়ে ছয় বছর দেওয়া এই সুবিধা গত বুধবার প্রত্যাহার করেছে ভারত। তাতে আকাশপথে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা।

বেনাপোল স্থলবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ভারত এই সুবিধা দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬২৪টি প্রতিষ্ঠান সড়কপথে বেনাপোল থেকে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে সিংহভাগই পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সংখ্যায় ৬০৬। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রায় ৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, আকাশপথে পণ্য পরিবহনে ঢাকার চেয়ে কেজিতে ৫০ সেন্ট থেকে ১ ডলার খরচ কম হয় কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহারে। আবার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে জটের কারণেও দ্রুত পণ্য পরিবহনে কলকাতা বিমানবন্দরের ব্যবহার বাড়ছিল। ভারত এই সুবিধা বাতিল করায় পোশাক রপ্তানিতে বিকল্প একটি পথ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। এতে বাড়তি চাপ তৈরি হতে পারে।

কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক আপাতত স্থগিত হওয়ায় বাড়তি শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পেল বাংলাদেশ– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘সংকট উত্তরণের সুযোগ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ সময়ে ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে। এতে আপাতস্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন দেশের রপ্তানিকারকরা। তাঁরা বলছেন, দেশের রপ্তানিতে বেশির ভাগ অবদান রাখা খাতটিতে সাময়িক ফাঁড়া কাটল। একই সঙ্গে চীন ১২৫ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়ায় আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা নিতে পারে।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কঝড়ে দেশের পুরনো ক্রয়াদেশ বাতিলের যে হিড়িক পড়েছিল তা কিছুটা থামবে। বাড়তি শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পেল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টার দুটি চিঠির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে, দ্রুত আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। সরাসরি দর-কষাকষির জন্য টিকফার পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে যুক্ত করে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা জরুরি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

সমকাল

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক আপাতত স্থগিত হওয়ায় দেশের রপ্তানি খাতে স্বস্তি ফিরেছে— এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘রপ্তানি খাতে আপাত স্বস্তি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক স্থগিতের ঘোষণায় স্বস্তি ফিরেছে দেশের রপ্তানি খাতে। কয়েক দিন ধরে রপ্তানি আদেশ স্থগিত হওয়ায় রপ্তানিকারকদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সেই আতঙ্ক আপাতত কেটেছে। তবে তারা বলেছেন, আপাতত তিন মাসের জন্য একটা স্বস্তি পাওয়া গেলেও ট্রাম্প প্রশাসন যাতে বাংলাদেশের ওপর আবার বাড়তি শুল্ক আরোপ না করে, সে জন্য সরকারকে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।

এদিকে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১২৫ শতাংশ শুল্ক বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্র তৈরি করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কেননা, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো পণ্যের দাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ। ফলে চীন থেকে রপ্তানি এখন আর লাভজনক হবে না। ভিয়েতনামে আগেই চীনা উদ্যোক্তারা বড় বিনিয়োগ করে ফেলেছেন। সেখানে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ কম। ফলে চীনের  বিনিয়োগ টানার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।  

ইত্তেফাক

ভারত পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় রপ্তানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন— এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে রপ্তানিকারকরা বিপাকে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। স্থল বন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পণ্যবোঝাই ট্রাক। পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তৈরি পোশাকবোঝাই ট্রাককে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। এতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ট্রাকগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত দুই দিনে এরকম পাঁচটি ট্রাক স্থলবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব পণ্য শুধু ভারতে রপ্তানি করা হয়, সেগুলো পাঠানো যাচ্ছে।

যুগান্তর

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে আপাতত স্বস্তি মিললেও দীর্ঘমেয়াদে থাকা চ্যালেঞ্জের সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতর ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল, যা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে— এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর।দুই চ্যালেঞ্জের মুখে রপ্তানি খাতশিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত হঠাৎ একতরফাভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করলেও বাংলাদেশের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। এমনটি মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও শিল্পোদ্যোক্তারা। তাদের মতে, ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশ খুব সামান্যই রপ্তানি করে, যা মোট রপ্তানির ১ শতাংশেরও কম। তবু এটা মোকাবিলায় ঠান্ডা মাথায় কূটনৈতিক পথেই হাঁটতে হবে। কোনো অবস্থায় সাংঘর্ষিক পথে যাওয়া যাবে না। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের নতুন সিদ্ধান্ত একমাত্র চীন ছাড়া বাকি দেশগুলোর জন্য ৯০ দিন স্থগিত করা হয়েছে। এরফলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা আপতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। তবে ৩ মাসের মধ্যে দরকষাকষির দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত সমাধান না মিললে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ভর করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল ও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিত করার বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে কিছু চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে। তবে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল যথাযথভাবে কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক চ্যানেলে আলোচনা চালিয়ে গেলে সহসা সংকটের সুরহা হতে পারে।

বণিক বার্তা

দীর্ঘমেয়াদি ও স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৭০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা নিতে সরকারের আলোচনা চলছে— এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।  ‘এলএনজি কিনতে সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চায়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নগদ অর্থের সংকট, বিশেষ করে ডলারের অভাবে সম্প্রতি জ্বালানির দাম সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সব বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে স্থানীয় উৎস থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস উত্তোলন করতে না পারায় চাহিদা মেটাতে দিন দিন বাড়ছে এলএনজি-নির্ভরতা। এ অবস্থায় জ্বালানি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। দীর্ঘমেয়াদি ও স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ৭০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা নিতে বহুজাতিক এ দাতা সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চলছে। চলতি বছরে দ্বিতীয়ার্ধে এ ঋণ সুবিধার বিষয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ যুদ্ধে রূপ নিয়েছে— এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘শুল্কযুদ্ধে এখন যুক্তরাষ্ট্র-চীন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। বিশ্বের সব দেশের ওপর আরোপ করা বাণিজ্য শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েই যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ গত বুধবার মার্কিন পণ্যে চীনের ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাবে চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যকার পাল্টাপাল্টি অবস্থান শুধু দুই দেশের সম্পর্ককেই নাড়া দিচ্ছে না, বরং এর প্রভাবে টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক, বিশ্বের বিভিন্ন পুঁজিবাজারে পতন এবং জ্বালানি তেলের দাম কমে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই সংঘাত বিশ্ববাজার, সরবরাহ শৃঙ্খল, মুদ্রা বিনিময় হার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

আজকের পত্রিকা

দেশে পরিবার পরিকল্পনার অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর চরম সংকট দেখা দিয়েছে— এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সরবরাহে সংকট’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবার পরিকল্পনার অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর চরম সংকট দেখা দিয়েছে দেশে। চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের গত এক বছরের পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে সরবরাহ শূন্যের কোঠায়। এতে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ এবং কম বয়সে বিবাহিত মেয়েদের গর্ভধারণের আশঙ্কা বেড়ে গেছে। বিশেষজ্ঞেরা এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, দেশের মানুষের ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এক-তৃতীয়াংশের কিছু বেশি অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ আসে সরকারি খাত থেকে। এ ছাড়া বেসরকারি খাত থেকে ৫৭ শতাংশ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) থেকে ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসে ৪ শতাংশ উপকরণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি খাত প্রধান উৎস না হলেও মোট জনসংখ্যার বিশাল আকারের বিবেচনায় ৩৭ শতাংশকে বড় হারই বলতে হবে।

নয়া দিগন্ত

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে প্রাথমিকভাবে দেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের শিপমেন্টের কিছুটা বিঘ্ন ঘটলে খুব শিগগিরই তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে— এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলকে পাত্তা দিবে না বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলকে পাত্তা দিবে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মনে করছে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে দেশের ব্যবসার বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হবে না। প্রাথমিকভাবে দেশের রফতানিমুখী তৈরী পোশাক খাতের শিপমেন্টের কিছুটা বিঘ্ন ঘটলে খুব শিগগিরই তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। ভারতের পরিবর্তে আর কোন কোন দেশে তৈরী পোশাক খাতে শিপমেন্ট করা যায় কি না তা নির্ধারণের জন্য আগামী সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সাথে বৈঠকের আয়োজন করা হতে পারে। তবে প্রথমে দেশের বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশ রূপান্তর

বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ চুক্তি, প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগ সম্মেলন শেষ হওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘বিনিয়োগ চুক্তি প্রতিশ্রুতি মিলল বিডা সম্মেলনে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ চুক্তি, প্রতিশ্রুতি ও দেশি-বিদেশি কোম্পানির প্রতিনিধিদের সামনে দেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি দূর করতে নেওয়া নানা উদ্যোগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড (বিডা) আয়োজিত চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিনিয়োগ সম্মেলন নিয়ে কথা বলেন বিডার বাণিজ্য উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রচি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী সদস্য শাহ মোহাম্মদ মাহবুব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

বিডার বাণিজ্য উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রচি বলেন, ‘চীনের হানডা কোম্পানির ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং স্টার্টআপ কোম্পানি শপআপে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ চুক্তি উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে আরও কিছু বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির তথ্যগুলো পরে জানাতে পারব।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads