মুজিবনগর দিবসে হাসিনা বললেন ‘স্বার্বভৌমত্ব হুমকিতে’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ত্যাগ স্বীকার করা প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

বর্তমান সময়কে দুঃসময় হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, “বর্তমান দুঃসময় আমরা দূর করবোই। আমাদের কাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতেও সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ!”

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এসব বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সনদ ও সংবিধানের মূলনীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, বাঙালী জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল এবং জনগণের সহযোগিতায় অনেকটুকু সফলতাও অর্জন করেছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, “কিন্তু দেশি-বিদেশি অপশক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার বাংলাদেশ এখন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবীরোধীদের দখলে। তাদের সন্ত্রাস, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও দুঃশাসনে জনজীবন যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বও হুমকির সম্মুখীন। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সংবিধানকে অস্বীকার করে তারা অসংখ্য মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে অস্বীকার করছে।”

অতীতের লড়াই সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “এ রকম দুঃসময়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য আমাদেরকে ইতিহাস ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ধারবাহিকতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আজকের বাংলাদেশ কোন বিচ্ছিন্ন অস্তিত্ব নয়।

“এই ব-দ্বীপের মানুষের অতীতের সকল লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর একুশ দফা, ঐতিহাসিক ছয়দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল সরকারের শপথ ও স্বাধীনতা সনদ অনুমোদন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বাহাত্তরের সংবিধান সবই পরস্পরের সাথে সম্পৃক্ত।”

শেখ হাসিনা বলেন, “গৌরবময় অতীতকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বর্তমান দুঃসময় আমরা দূর করবোই। আমাদের কাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতেও সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ!”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads