নারী অধিকারের প্রশ্ন সামনে এলেই দেয়াল হয়ে দাঁড়াচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। এক যুগ আগে আওয়ামী লীগ আমলে নারী উন্নয়ন নীতির বিরুদ্ধে মাঠে নেমে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক এই সংগঠনটি। এখন অন্তর্বর্তী সরকার আমলে এসে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিরুদ্ধে নেমেছে তারা।
শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি তুলেছে। তাদের সেই সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসএনপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অংশগ্রহণ ও বক্তৃতাও করেছেন।
আওয়ামী লীগ আমলে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবিকে প্রধান রেখে এই সমাবেশ ডাকা হলেও সমাবেশে বক্তাদের কণ্ঠে ছিল নারী অধিকারের বিরোধিতা।
সমাবেশের ঘোষণাপত্রে এমন সব বিষয় ছিল, যা জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের গড়া দল এনসিপির বক্তব্যের বিপরীত। তার মধ্যেই সেই সমাবেশে হাসনাতের অংশগ্রহণ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
হেফাজতের সঙ্গে বৈঠকের পর তাদের সমাবেশে অংশগ্রহণকে ধরে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে এনসিপি বহুত্ববাদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের যে কথা বলছে, তা কি কেবল ফাঁকা আওয়াজ।
নারী উন্নয়ন নীতির বিরোধিতা করে গড়ে ওঠা হেফাজতে ইসলাম ২০১৩ সালে ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তি দাবিতে রাজপথে নামলেও দৃশ্যত তাদের মূল লক্ষ্য ছিল গণজাগরণ আন্দোলন ঠেকানো।
ওই বছরের ৫ মে মতিঝিলে শাপলা চত্বরে সমাবেশ ডেকে সারা ঢাকায় তাণ্ডব চালায় হেফাজত। পরে সাঁড়াশি অভিযানে তাদের তুলে দেওয়া হয়।
এরপর আওয়ামী লীগ সরকার হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ নিয়েছিল। তার প্রতিদানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দিয়েছিল হেফাজত এবং তা দেওয়া হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ থেকেই।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে হেফাজত। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সেই অভ্যুত্থানকারীদের গড়া দল এনসিপিও এপ্রিলের শুরুতে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
গত ৮ এপ্রিলের সেই বৈঠকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ দলটির দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন ঠেকানোর বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয় বলে খবর এসেছে।
এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত নারী বিষয়কব সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দেয়, যার প্রধান ছিলেন প্রয়াত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন হক। এই কমিশন সম্পত্তিতে নারীদের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠাস, যৌনকর্মীদের পেশার স্বীকৃতিসহ বেশ কিছু সুপারিশ করে, যার মধ্যে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের কথাও রয়েছে।
এরপরই হেফাজতে ইসলাম এই কমিশন বাতিলের দাবি তুলে ৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ ডাকে। সমাবেশের মূল দাবি হিসাবে আওয়ামী লীগ আমলে হেফাজত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারকে সামনে রাখা হলেও হেফাজতকর্মীদের মিছিলে-স্লোগানে নারী বিদ্বেষী কথাই ছিল বেশি। সমাবেশে নেতাদের বক্তব্যও ছিল একই রকম।
কী ছিল সমাবেশের ঘোষণাপত্রে?
সমাবেশ মঞ্চ থেকে ১২ দফা ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক।
তার মধ্যে রয়েছে- নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিলপূর্বক আলেম-ওলামার পরামর্শক্রমে ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিশন গঠন করা।
হেফাজত বলেছে, নারীর সামাজিক উন্নয়নে পশ্চিমা মূল্যবোধ নয় বরং নিজস্ব সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকেই বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ধর্মপ্রাণ গণমানুষের ঈমান-আমল রক্ষার্থে ‘বহুত্ববাদ’ নামক আত্মঘাতী ধারণা থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। এছাড়া ‘লিঙ্গ বৈচিত্র্য’, ‘লিঙ্গ সমতা’, ‘লিঙ্গ বৈষম্য’, ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ (বা থার্ড জেন্ডার), ‘অন্যান্য লিঙ্গ’ ইত্যাদি শব্দের মারপ্যাঁচে, ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’ এমন ধোঁয়াশাপূর্ণ স্লোগানের অন্তরালে এবং অসংজ্ঞায়িত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বা ‘ইনক্লুসিভ’ ইত্যাদি শব্দের আড়ালে এলজিবিটি ও ট্রান্সজেন্ডারবাদের স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমাজবিধ্বংসী ও ধর্মবিরুদ্ধ সমকামীবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে।
সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপনের দাবি জানানো হয় ঘোষণাপত্রে।
এছাড়া শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচারে গতি আনতে ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা আরো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে হেফাজত। জাতীয় নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনার বিচার শেষ করার দাবিও তারা জানায়।
হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে এই সমাবেশে সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও কেফায়েত উল্লাহ আজহারীসহ অন্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ থেকে নারীর ‘ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার’ দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং আগামী ২৩ মে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দেওয়া হয়।
সমাবেশে হাসনাত বলেছেন কী?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়া হাসনাত আব্দুল্লাহ আওয়ামী লীগ শাসনামলে হেফাজতের ওপর দমন-পীড়নের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন সমাবেশে।
তিনি বলেন, “আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার আট মাস পরে যেসব দাবিতে আজ আমরা এখানে জমায়েত হয়েছি, সেটা আমাদের জন্য গর্বের কিছু নয়, বরং এটি আমাদের জন্য লজ্জার।
“যে আওয়ামী লীগ আমাদের দাড়ি-টুপিওয়ালা ভাইদেরকে বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে রাস্তায় নামিয়ে এনে হত্যা করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আর পূনর্বাসন হবে না।”
হেফাজতে ইসলাম নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে যেসব ‘কনসার্ন’ উত্থাপন করেছে, সেগুলোকে ‘অতিসত্বর অ্যাড্রেস’ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হাসনাত।
“নারী সংস্কার নিয়ে যে কনসার্ন আপনাদের কাছে এসেছে, আমরা চাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই কনসার্নগুলোকে আপনি অতিসত্তর অ্যাড্রেস করবেন। অপ্রয়োজনীয় সংস্কারগুলোকে পাশ কাটিয়ে প্রয়োজনীয় যে সংস্কারগুলোর মধ্য দিয়ে নারীদের অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত হয় এবং আমাদের দেশের ধর্মীয় ও কালচারাল সম্মান যেন অক্ষুণ্ন থাকে, সেই সংস্কারগুলোর ওপর জোর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “৫ অগাস্ট সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, হাসিনার পুনর্বাসনের প্রতি সারা বাংলাদেশের মানুষ রেডকার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। ৫ আগস্ট আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই ভূখণ্ডে আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না।
“আওয়ামী লীগ মারা গেছে বাংলাদেশে, আর জানাজা হয়েছে দিল্লিতে। শহীদদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আসবে না।”

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর এগিয়ে না আসা নিয়ে হাসনাত বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আট মাস পরে এসে আমাদের দেশের অনেক রাজনৈতিক দল, অনেক রাজনীতিবিদ আমাদেরকে বারবার মনে করিয়ে দেয়, আওয়ামী লীগ নাকি রাজনৈতিক দল এবং এই রাজনৈতিক দল নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার এখতিয়ার নাকি আমাদের নেই।
“আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। একাত্তর পরবর্তী সময়ে আপনারা দেখেছেন শেখ মুজিব সর্বপ্রথম বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। এই বাকশালি দিয়ে ৩০ হাজার জাসদকর্মীকে হত্যা করে সারা বাংলাদেশে কসাইতন্ত্র কায়েম করেছে।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে হাসনাত বলেন, “এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে আমরা সংস্কার করতে চাই। প্রয়োজন হলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস কিছুদিন আগে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেই সিদ্ধান্ত নাকি আওয়ামী লীগের।
“আপনি ভুলে যাবেন না, আমরা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি করবে না, নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
হেফাজতের সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার একটি ছবি নিজের ফেইসবুক পেইজে দিয়ে তার ক্যাপশনে হাসনাত লিখেছেন- “এই সরকারের প্রথম এবং প্রধান সংস্কার হতে হবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।”
এনসিপির অবস্থান কি স্পষ্ট হচ্ছে?
এনসিপি যখন নারীর সমানাধিকার, তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার, বহুত্ববাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলছে, তখন হেফাজতে ইসলামের দাবি ও সমাবেশের ঘোষণাপত্র তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়ায়।
সেক্ষেত্রে হেফাজতের সমাবেশে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে কি নারী কমিশনের বাতিলের দাবিতে সহমত জানালেন- বিবিসি বাংলার সেই প্রশ্নে হাসনাত বলেন, “আমি বলেছি আলোচনা করতে এই বিষয়গুলো নিয়ে। যদি মনে হয় ভ্যালিড, যারা সংস্কার কমিশনের ছিলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যেখানে নারীদের সম্মান এবং অধিকার যে সংস্কারের মধ্য দিয়ে অক্ষুণ্ন থাকবে।
“আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রয়েছে, ধর্মীয় মূল্যবোধ রয়েছে, মানুষের মাঝে ধর্মভীতি রয়েছে, এটা সকল ধর্মেরই… এই বিষয়গুলো যেন কম্প্রমাইজ না হয়, আমি এটাই বলেছি। ইসলামিক মূল্যবোধবিরোধী সংস্কার কমিশন বাদ দিতে হবে- আমি এটা কোথাও বলিনি।”
হাসনাত বলেন, এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবেই হেফাজতের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
তবে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বিবিসি বাংলাকে বলেন, হেফাজত তাদের সমাবেশে দল হিসেবে এনসিপিকে ডাকেনি। অভ্যুত্থানের নেতা হিসেবে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে হাসনাত এই সমাবেশে অংশ নেন।
সেখানে হাসনাতের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, “তার বক্তব্যকে আমাদের কাছে পুরোপুরি নেতিবাচক মনে হয়নি। নারী সংস্কার কমিশন বাতিল বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য ছিল না।
“হাসনাত আব্দুল্লাহ শুধু এটাই বলতে চেয়েছেন যে আমাদের দীর্ঘদিনের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ যেন কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক না হয়।”
নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সঙ্গে এনসিপির আপত্তির জায়গা কোথায়- প্রশ্নে আদিব বলেন, “সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক, প্রতিবেদনে এমন কিছু প্রস্তাবনা আছে। স্পেসিফিক কয়েকটি বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে। যেমন…উত্তরাধিকার আইন… সমানাধিকার… বিয়ে।”
রাজনৈতিক দল হিসে আত্মপ্রকাশের পর হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক, এরপর তাদের সমাবেশে অংশগ্রহণ ধরে এনসিপির অবস্থানের বিষয়ে এক ধরনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, হেফাজতের সমাবেশে হাসনাতের অংশগ্রহণ থেকে এটি স্পষ্ট যে এনসিপি ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গে এক ধরনের ঐক্য ঘোষণা করছে।
এনসিপি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রের কথা বললেও দল গঠনের সময়ই তারা তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে কমিটিতে রাখেনি ইসলামী সংগঠনগুলোর বিরোধিতার মুখে।
তখন হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেইসবুকে এমন পোস্টও দিয়েছিলেন যে তিনি সবার আগে একজন মুসলমান।
তাই হেফাজতের সমাবেশে হাসনাতের অংশগ্রহণ ‘ব্যক্তিগত’ বলে মনে করছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এটিকে আমি এনসিপির বক্তব্য বলে মনে করছি এবং তাদের অবস্থানও তাই। হাসনাতের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কমিশন ও নারী বিষয়ে এনসিপির অবস্থান পরিষ্কার হচ্ছে।”
এনসিপিকে কিংস পার্টি আখায়িত করে তিনি বলেন, “এনসিপি এখন পর্যন্ত তাদের গঠনতন্ত্র ও মূলনীতি স্পষ্ট করেনি। কিন্তু তারা তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের মতাদর্শিক-রাজনৈতিক অবস্থান জানান দিচ্ছে।”