বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার যে নির্দেশনা ঢাকা মহানগর পুলিশ দিয়েছিল, তার কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।
সেই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওই নির্দেশনা কেন ‘বেআইনি’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছে।
বুধবার জনস্বার্থে একটি রিট মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জসিমউদ্দিন গত রোববার এ রিট আবেদন করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের জারি করা ওই অফিস আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে সেখানে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে এ রিট মামলায়।
৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।