জুলাই ও আগস্টে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে ২১ চিকিৎসকসহ ৩৪ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২৭ মে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে সিন্ডিকেটের ১৪ জন সদস্যের নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায় বা বিএসএমএমইউ নামেই বেশি পরিচিত। গত ১৩ মার্চ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়।
দ্য সান ২৪-র হাতে আসা ওই প্রতিবেদন ঘেটে দেখা যায়, চাকরিচ্যুতিদের বিরুদ্ধে ৪ আগস্টে সংঘটিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের দায় দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে, হত্যা প্রচেষ্টা, মারামারি, ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো অভিযোগ।
৩৪ জনের মধ্যে ১৯ জনকে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে সরাসরি মারামারি, ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তারা হলেন, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, ডা. ফারুক হোসেন, অধ্যাপক ডা. মো. আহসান হাবিব, অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্দি দে, ডা. মো. জাহান শামস্, ডা. মো. নূর-ই-এলাহী, ডা. হাসানুল হক, ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম, ডা. আশীষ কুমার সরকার, ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডা. মো. শাহনেওয়াজ বারী, ডা. অমল কুমার ঘোষ, ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, ডা. মো. আশরাফুজ্জামান, ডা. মাঈদুল হাসান, ডা. মোহাম্মদ তারিকুল মতিন, ডা. মো. ওমর ফারুক ও ডা. মো. কুতুবউদ্দিন।

বাকি ১৫ জনের বিরুদ্ধে কেবিন ব্লকের সামনে একজন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার জড়িত ছিলেন বলে জানানো হয়।
এদের মধ্যে রয়েছেন, ডা. আবু তোরাব মীম, ডা. মো. রিয়াদ সিদ্দিকী, পেইন্টার নিতীশ রায় ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, এমএলএসএস মেহেদী কাজী, সহকারী ড্রেসার মো. শহিদুল ইসলাম, সুইপার সন্দীপ দাস, অফিস সহকারী উজ্জ্বল মোল্ল্যা, ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, কাস্টমার কেয়ার এটেনডেন্ট রুবেল রানা, এমএলএসএস শাহাদাত, সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, এমএলএসএস মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. মুন্না আহমেদ।
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার ছাড়াও আটজন ডিন, ইউজিসি মেম্বারসহ ১৪ জন সিন্ডিকেট সদস্যের স্বাক্ষরে এই ৩৪ জনকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবেদনটি অনুমোদন দেওয়া হয়।