আই ফোনের একটা বড় অংশ তৈরি হয় চীনের কারখানায়। তবে ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে এবার পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য আই ফোনের একটি বড় অংশ এখন থেকে ভারতের কারখানায় তৈরি হবে।
বৃহস্পতিবার অ্যাপলের সিইও টিম কুক জানান, আমেরিকা বাজারের জন্য আই ফোনের একটি বড় অংশ এখন থেকে ভারতের কারখানায় তৈরি হবে।
কুকের কথায়, “যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যে আই ফোন বিক্রি হবে তার একটা বড় অংশ তৈরি হবে ভারতে।”
অ্যাপলের এই বছরের প্রথম কোয়ার্টারের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন কুক।
আই প্যাড, ম্যাক, ইয়ার পড, অ্যাপল ওয়াচের একটা বড় অংশ তৈরি হবে ভিয়েতনামে। ভিয়েতনামে এর আগেও অ্যাপলের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি হতো। কিন্তু এবার তার পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির কারণে চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার বাণিজ্য অনেকটাই মার খেতে শুরু করেছে। ফলে অ্যাপলের মতো সংস্থা চীন থেকে তাদের কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
ট্রাম্প চীনের পণ্যের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্কআরোপ করেছে। আমেরিকার পণ্যের উপর পাল্টা সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করেছে চীনও।
সেমিকন্ডাক্টর এবং ইলেকট্রনিক জিনিসের উপর কিছু ছাড় দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু ওয়াশিংটন জানিয়েছে, সেই ছাড়গুলোও আগামী কিছুদিনের মধ্যে বদলে যেতে পারে।
কুক বলেন, “ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব প্রথম কোয়ার্টারে তাদের উপর খুব বেশি পড়েনি। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ার্টারে এভাবে চলতে থাকলে বিরাট ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে তাদের। সে কারণেই চীন থেকে কারখানা সরিয়ে ভিয়েতনাম এবং ভারতে তা স্থানান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
আই ফোনের উৎপাদনের একটা বড় অংশ ভারতে নিয়ে এলেও চীনের কারখানা এখনই বন্ধ করছে না অ্যাপল।
কুক জানিয়েছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও চীনের কারখানায় অ্যাপলের একটা বড় অংশ উৎপাদন চলতে থাকবে। অ্য়ামেরিকার বাইরে অ্যাপলের যে জিনিস বিক্রি হয়, তার উৎপাদনের বড় অংশ এখনো চীনেই হবে।
চীনে অবশ্য অ্যাপলের জিনিস বিক্রি আগের চেয়ে অনেকটাই কমে গেছে। গত কোয়ার্টারে বিক্রি কমেছে প্রায় দুই দশমিক তিন শতাংশ। অর্থাৎ, প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার।
চীনের তৈরি ফোনের বাজার ক্রমশ বাড়ছে সেখানে। এর একটা বড় কারণ, অন্য ফোনগুলোতে এআই-য়ের ব্যবহার অনেক বেশি। অ্যাপল এখনো নিজেদের ফোনে এআই অ্যাপ্লিকেশন খুব বেশি রাখেনি।