আইআরজিসি’র দুই শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরানও চালিয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ছবি: রয়টার্স।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরানও চালিয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ছবি: রয়টার্স।

ইরানের খোররামবাদ ও ইসফাহানসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ইসফাহানে তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। খোররামবাদে হামলায় নিহত হয়েছেন ৫ ইরানি। এছাড়া আইআরজিসি’র দুইজন কমান্ডারকে হত্যার দাবিও এসেছে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে।

ইসরায়েলি হামলার জবাবে ভোরে মধ্য ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, আমেরিকা যদি ইসরায়েলের “আগ্রাসনে” যোগ দেয় তবে তা “সকলের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক” হবে।

ইরানের খোররামাবাদ শহরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে আইআরজিসি’র বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।

ইরানের নূর নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১৫ জন কর্মকর্তা ও সৈন্য নিহত হয়েছেন।

১৩ জুন থেকে ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী। এছাড়া হামলা করা হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনসহ বেসামরিক ও সরকারি স্থাপনায়।

ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদরেজা জাফরঘান্দি অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল সংঘাতের সময় তিনটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, যাতে দুই স্বাস্থ্যকর্মী এবং একটি শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইরানের নূর নিউজ শনিবার ১৫ জন ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং সৈন্যের নাম প্রকাশ করেছে, যারা ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের ২৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

আল জাজিরা তাদের লাইভ আপডেটে জানিয়েছে, তারা এর আগে ইসরায়েলের হামলায় কোম প্রদেশে আইআরজিসির একজন কমান্ডারের নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন। তবে এখন ইসরায়েল দাবি করছে, এর বাইরে আরও একজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রাতে তেহরানে আইআরজিসির গাড়িতে হামলায় বেনহাম শারিয়ারি নামে পরিচিত আইআরজিসির দ্বিতীয় কমান্ডারকে হত্যা করা হয়।

তারা বলেছে, এই কমান্ডার মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সমস্ত অস্ত্র স্থানান্তরের জন্য দায়ী।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, শারিয়ারি হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের হুথিদের কাছে ইসরায়েলে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট সরবরাহ করেছিলেন।

অবশ্য এই দুই কমান্ডারের হত্যার বিষয়ে আইআরজিসি এখনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর:

আরও পড়ুন