যুক্তরাজ্য সফরে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। তার বিপরীতে আরেকটি খবর চাউর হয়েছে রাজনৈতিক মহলে- ‘ইউনূসের সফর ভণ্ডল করতে লন্ডন যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়’।
আগামী ৯ জুন দেশ থেকে রওনা হয়ে মুহাম্মদ ইউনূস ফিরবেন ১৪ জুন।
মূলত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে ‘কিংস চার্লস থার্ড হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করতেই মুহাম্মদ ইউনূসের এই সফর, যা হবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের চেয়ারের বসার পর তার দশম বিদেশ যাত্রা। সে হিসেবে গত ১০ মাসে গড়ে একবার বহর নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সরকারের তরফে মুহাম্মদ ইউনূসের যে সফরসূচি জানানো হয়েছে তাতে অবশ্য তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ নেই।
আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের সূচি ঠিক না হলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতের বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তারেক রহমান বা বিএনপির দিক থেকে আগ্রহ দেখালে তাদের বৈঠক হতে পারে। সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বৈঠকের ব্যবস্থা করবে।
এদিকে, ইউনূসের লন্ডন আগমনের দিন কালো পতাকা প্রদর্শনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে বর্তমান সরকারের মুখপত্র হয়ে ওঠা দৈনিক আমার দেশের এক খবরে দাবি করা হয়েছে।
পত্রিকাটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনূস যেসব জায়গায় মিটিং করবেন, সেখানে বিক্ষোভ করবেন তারা। এ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জড়ো করার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আর এই কর্মসূচি সফল করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সজীব ওয়াজেদ জয় লন্ডনে যাচ্ছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
অবশ্য আওয়ামী লীগ ও জয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দ্য সান ২৪কে বলেন, “পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য সঠিক নয়। সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেই জানিয়েছেন তার এরকম কোনো পরিকল্পনা নেই।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
লন্ডনে নয় বরং সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। তবে ঠিক কোন তারিখে তিনি দিল্লিতে পা রাখবেন, নিরাপত্তার কারণে সে কথা জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, তার মায়ের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন জয়। পাশাপাশি ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তার।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাসপোর্ট বাতিল করে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। তারপরই আমেরিকার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন তিনি। মার্কিন নাগরিক হিসেবেই তিনি ভারতে যাচ্ছেন।