বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে সিলেটে সাংবাদিকের মামলা

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সিলেটের আদালতে একটি ‘চেক ডিজঅনার’ মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন কালের কণ্ঠের সাবেক সিলেট ব্যুরো প্রধান আহমেদ নূর।

আদালতের বিচারক আবুল মোমেন মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বর্তমান সম্পাদক হাসান হাফিজ, চেক স্বাক্ষরকারী শাহেদ মুহাম্মদ আলী ও নঈম নিজাম এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে কালের কণ্ঠ।

নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮/১৪০ ও অন্যান্য ধারা অনুযায়ী মামলাটি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, মামলার বাদি বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ১২ বছর সিনিয়র রিপোর্টার পদমর্যাদায় সিলেট অফিসের ব্যুরো প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তবে সংবাদপত্র ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী দীর্ঘদিনের সার্ভিস বেনিফিট পরিশোধ করতে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করেন। এক পর্যায়ে বেনিফিটের টাকা পরিশোধে সম্মত হলেও বেশিরভাগ অর্থ এখনও বকেয়া।

সর্বশেষ গত জানুয়ারি মাসে ১০টি চেক প্রদান করা হয় সাংবাদিক আহমেদ নূরকে, যাতে প্রতি মাসে একটি চেক নগদায়নের তারিখ দিয়ে দেওয়া হয়।

এর মধ্যে দুটি চেক ছাড়া আটটি চেক ডিজঅনার হয়, যার অর্থের পরিমাণ ৬ লাখ ০১ হাজার ৮২৪ টাকা।

বাদি আইনজীবীর মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠালে আসামিরা এর জবাবে শিগগিরই টাকা পরিশোধের বিষয়টি তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন।

এরপরও টাকা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সোমবার সাতটি চেক ডিজঅনারের মামলা করেন আহমেদ নূর।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর একটি চেক ডিজঅনারের মামলা একই আদালতে করা হয়েছিল।

আদালত ওই মামলায়ও আসামিদের আদালতে হাজিরের জন্য সমন পাঠিয়েছে।

বাদির পক্ষে আদালতে মামলাটি করেন সিনিয়র আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম।

তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশিদ সোয়েব, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বুরহান উদ্দিন এবং অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ রাহাত। আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম মামলার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের হাজিরের জন্য সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বাদি আহমেদ নূর বলেন, “যে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করেছি তার বিরুদ্ধে ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য মামলা করতে হয়েছে এটা দুঃখজনক। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে নিজের জন্য গ্লানিরও।

“ঢাকার বাইরে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতি মিডিয়া হাউসগুলো কি ধরণের আচরণ করে এটা বড় উদাহরণ। আমি আমার জন্য এবং আমার উত্তরসুরীদের প্রতিবাদী করতে এবং মুখ বুজে যাতে অন্যায় সহ্য না করেন তার জন্য এই আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

আরও পড়ুন