বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে মঙ্গলবার লন্ডনের পথে উড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সর্বাধুনিক চিকিৎসা সম্বলিত ওই অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির।
রোববার রাত ৯টায় গুলশানে তার বাসায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন খালেদা জিয়া।
পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার দিনক্ষণ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী, যিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন, তিনি তার চিকিৎসার জন্যে আগামী ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। সেই কারণে আমরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য উনার কাছে এসেছিলাম শুভেচ্ছা জানাতে।”
লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগতে থাকা ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লন্ডনে তার ছেলে তারেক রহমানের কাছে কিছুদিন থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলেও জানান তিনি।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে কোনও বাধা না থাকলেও শারীরিক সক্ষমতার কারণে এতদিন তিনি যাননি, এমন কথা বলা হচ্ছিল বিএনপির পক্ষ থেকে।
পরে তার চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানুয়ারির শুরুতে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার কথা বললেও সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ এই প্রথম জানানো হলো।
খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান সপরিবারে লন্ডন রয়েছেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হসপিটালের মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি কেয়ার ইউনিটে খালেদার লিভারের জটিলতার চিকিৎসা নেবেন।
ইতোমধ্যে তার যাবতীয় চিকিৎসার কাগজপত্র, বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট সেখানে পাঠানো হয়েছে।
চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে খালেদা জিয়া দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল।
তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসা শেষে শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন।