কুয়েটে সংঘর্ষ: রামদা হাতে ভাইরাল যুবদল নেতা বহিষ্কার

রামদা হাতে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছবি: সংগৃহীত
রামদা হাতে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এক যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, রামদা হাতে যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।

মাহবুবুর রহমান নামের এই যুবক খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সভাপতি ছিলেন।

ডেইলি স্টার জানিয়েছে, কুয়েটে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার রাতে যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেলের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে মাহবুবুর রহমানকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বহিষ্কৃত নেতাদের অপকর্মের দায়দায়িত্ব সংগঠন নেবে না– দলের এই অবস্থান উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয় বলে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবারের এই সংঘর্ষের মধ্যেই গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় রামদা হাতে নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেখা যায় এক যুবককে। পরে স্থানীয়রা ওই যুবককে যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান হিসেবে শনাক্ত করেন।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল। তারা দাবি করে– একটি গুপ্ত সংগঠন ছাত্রদলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মানুষের কাছে তুলে ধরার ষড়যন্ত্র করছে।

থমথমে কুয়েট

এদিকে প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় কুয়েট ক্যাম্পাসে বুধবার থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

নতুন করে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে বুধবার সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছেন।

এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীকে এদিন আবাসিক হল ছেড়ে চলে যেতেও দেখার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে।

আরও পড়ুন