লালমনিরহাটে ঢেকে রাখা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মারক মঞ্চের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
রোববার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের নির্দেশে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা ম্যুরালটি ভাঙেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “ম্যুরাল ভাঙার সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসকের। উনার কাছেই এ বিষয়ে জানতে চান।”
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অতিক্রমের আহ্বায়ক হেলাল কবির বলেন, “ম্যুরালটি ভাঙা হয়েছে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে। ঢেকে রাখারও নির্দেশ ছিল তার। অন্য কেউ এ নিয়ে আপত্তি জানায়নি।”
লালমনিরহাট শহরের বিডিআর রোডে লালমনিরহাট শিশু পার্কসংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মারক মঞ্চের ম্যুরালে ফুটিয়ে তোলা ছিল, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতা যুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার গঠন, স্বাধীন ভূখণ্ডে নব রবির উদয়, ৭১-এর গণহত্যা, বিজয়ে উচ্ছ্বসিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, জাতীয় পতাকা হাতে উল্লসিত জনতা ইত্যাদি।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জেলা প্রশাসন সেই ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন সংগঠন।
গত ২৭ মার্চ জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেছিলেন, “২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতীয়মান না হওয়ায় ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।”
দুদিন পর ২৯ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, “আমরা ৫২, ৭১-কে ২৪-এর মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই না।”