সংস্কার কমিশনের ১০টি সুপারিশে ইসির ‘না’

EC

সংস্কার কমিশনের ১০টি সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে জানিয়ে জাতীয় ঐক্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।

ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

ইসি সচিব বলেন, “নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ১০ টি সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি স্বতন্ত্র কমিশন করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এটির প্রয়োজন নেই।”

এ ছাড়া সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের যে ফর্মুলার কথা বলা হয়েছে, সেটি হলে শহর অঞ্চলে আসন বেড়ে যাবে।

ইসি মনে করে ভোটারসংখ্যা, জনসংখ্যা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনা করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা উচিত।

ইসি সচিব আরও বলেন, “সংস্কার কমিশন নির্বাচনের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফাই করার বিষয়ে একটি সুপারিশ করেছে। নির্বাচন কমিশন মনে করে এটির প্রয়োজন নেই। কারণ ফলাফলের যে গেজেট প্রকাশিত হয় সেটি সার্টিফিকেশন।”

নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ও নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে তাতেও ভিন্নমত জানিয়েছে ইসি।

ইসি সচিব বলেন, “এ জন্য একটি ব্যবস্থা এখনই রয়েছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে।”

এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা উচিত বলেও কমিশন মত দিয়েছে।

আরও পড়ুন