লিবিয়ায় গণকবর থেকে ৪৯ ‘অভিবাসন প্রত্যাশীর’ দেহবাশেষ উদ্ধার

কুফায় একটি খামার থেকে উদ্ধার করা অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের দেহবাশেষ। ছবি: রয়টার্স
কুফায় একটি খামার থেকে উদ্ধার করা অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের দেহবাশেষ। ছবি: রয়টার্স

লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মরুভূমিতে দুটি গণ কবর থেকে অন্তত ৫০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর দেহবাশেষ উদ্ধার করা হয়েছে, যারা দেশটি হয়ে ইউরোপে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিলেন।

লিবিয়ার নিরাপত্তা অধিদপ্তর রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, এর মধ্যে একটি কবর শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুফরার একটি খামারে পাওয়া যায়। যেখান থেকে ১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে।

কুফরার নিরাপত্তা চেম্বারের প্রধান মোহামেদ আল-ফাদেইল জানান, শহরের একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে অভিযান চালানোর পর দ্বিতীয় গণকবরটি পাওয়া যায়। সেখানে অন্তত ৩০টি মৃতদেহ ছিল।

জীবিত উদ্ধারদের তথ্যমতে সেখানে অন্তত ৭০ জনকে কবর দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেখানে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি।

লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চেলে শরণার্থীদের সহায়তাকারী সংস্থা আল-আব্রিন জানায়, এদের মধ্যে কিছু লোককে গুলি করে হত্যার পর সমাহিত করা হয়েছে।

আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অভিবাসীদের প্রধান ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ লিবিয়া। সেখানে এর আগেও অভিবাসন প্রত্যাশী শরণার্থীদের গণকবর পাওয়া গিয়েছিল।

গত বছর রাজধানী ত্রিপোলি থেকে দক্ষিণের সুয়ারিফ অঞ্চলে এমন একটি গণকবর থেকে অন্তত ৬৫ অভিবাসন প্রত্যাশীর দেহবাশেষ উদ্ধার করা হয়েছিল।

মানব পাচারকারীরা প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে লিবিয়া, চাদ, নাইজার, সুদান, মিসর, আলজেরিয়া ও তিউনেশিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশগুলোর সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী এবং শরণার্থী পাচার করে আসছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছে এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের জোরপূর্বক শ্রম, পেটানো, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। ওইসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের পরিবারের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই সাধারত এই নির্যাতন করা হয়। টাকা পেলেই কেবল ইউরোপের পথে নৌকায় চড়ার অনুমতি পান তারা।

মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা আটকের পর লিবিয়া ফেরত আসে তাদের সরকার পরিচালিত আটক কেন্দ্রে রাখা হয়।

আরও পড়ুন