কাজের হিসাব দাও, না হলে পদত্যাগ: ফেডারেল কর্মীদের মাস্ক

ইলন মাস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কর্মচারীরা শনিবার সন্ধ্যায় একটি ই-মেইল পেয়েছেন যাতে আগের সপ্তাহের কাজের হিসেব দিতে বলা হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কথিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওই ই–মেইল পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, যারা ই–মেইলের অনুরোধে সাড়া দেবেন না তারা পদত্যাগ করেছেন বলে বিবেচনা করা হবে।

এর আগে মাস্ক তার এক্স পোস্টে বলেন, সব ফেডারেল কর্মচারী শিগগিরই একটি ই–মেইল পাবেন। এই ই–মেইলে তারা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন, তা বোঝার জন্য অনুরোধ থাকবে। ই–মেইলে সাড়া দিতে ব্যর্থ হলে তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য হবে।

ট্রাম্প তার নিজের ট্রুথ সোশ্যাল নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় মাস্ক তার পোস্টটি দেন।

ট্রাম্প তার পোস্টে বলেন, ২৩ লাখের শক্তিশালী ফেডারেল কর্মী বাহিনীর আকার কমানো ও ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টায় ডিওজিইর আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনসহ অন্য ফেডারেল সংস্থাগুলোর কর্মচারীদের কাছে এই ই–মেইল পাঠানো হয়েছে। ই–মেইলের বিষয়বস্তুর শিরোনাম: ‘গত সপ্তাহে আপনি কী করেছেন?

মার্কিন সরকারের অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের মানবসম্পদ ঠিকানা দিয়ে এই ই–মেইল পাঠানো হয়েছে। আর ই–মেইলের জবাব দেওয়ার জন্য সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে কর্মচারীদের।

মানব সম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো ওই ই-মেইলের সত্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে বিবিসি।

কোনো ফেডারেল কর্মচারী মাস্কের অনুরোধে সাড়া দিতে ব্যর্থ হলে তিনি কোন আইনি ভিত্তিতে তাকে (কর্মচারী) বরখাস্ত করবেন, তা স্পষ্ট নয়। আবার যেসব কর্মচারী বিধিমোতাবেক গোপনীয় কাজের বিবরণ দিতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে কী হবে, তা–ও পরিষ্কার নয়।

এদিকে, মার্কিন ফেডারেল কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন এএফজিই এক বিবৃতিতে বলেছে, যেকোনো বেআইনি চাকরিচ্যুতিকে তারা চ্যালেঞ্জ করবে।

আরও পড়ুন