‘রাজাকার ও আলবদরদের জন্য’ আওয়ামী লীগের অবস্থান ঠিক ছিল বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালুর মাঠে মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার ও আলবদর হিসেবে পরিচিত ছিল, তারা তখন বাংলাদেশের জনগণ ও নারীদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল। আজ তারাই আবার ভোট চাইছে এবং বড় বড় কথা বলছে। তারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিল?
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ একটা অসভ্য দল। জামায়াতের ওষুধ হলো আওয়ামী লীগ। তাদের জন্য আওয়ামী লীগই ঠিক ছিল। কারণ, তারা সভ্যদের সঙ্গে চলতে পারে না। আমরা আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করতে পারি না বলেই ওদের কণ্ঠস্বর এত উঁচু।”
“বাংলাদেশের মানুষ অনেক শিক্ষিত নয়। তবে বোকা নয়। এসব করে দেশের মানুষকে বোকা বানানো যাবে না,” যোগ করেন আব্বাস।
জামায়াতের নেতাকর্মীদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এরা মওদুদীবাদে বিশ্বাস করে, ইসলামের প্রকৃত চেতনায় বিশ্বাস করে না।
“এদের শুধু মুসলমানের লেবাস আছে। নির্বাচন সামনে রেখে কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।”
তিনি বলেন, “কারও কারও বক্তব্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভোট না দিলে জান্নাত-জাহান্নামের কথা বলা হচ্ছে। এমনকি কুপিয়ে মারার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।”
গত বছরের ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। যদিও বিএনপিও তা থেকে পিছিয়ে থাকেনি।
সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যেও এর ছোঁয়া মেলে। জামায়াতসহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে সুর মিলিয়ে তাকেও বলেতে শোনা গেছে, ক্ষমতায় গেলে তারাও ইসলামী আদর্শ মেনে ‘ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ’ গড়বেন।
