আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিদেশিদের তৎপর হয়ে ওঠার খবর সোমবার গুরুত্বের সঙ্গে উঠে এসেছে সংবাদপত্রের পাতায়। পাশাপাশি গ্যাস সংকটের পাশাপাশি কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমায় দেশের শিল্পকারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার খবরও আছে। এর বাইরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর দেওয়া না দেওয়া বিষয়ক আলোচনা ও বিষয়টি ঘিরে সরকারের অবস্থান, ইসির নিবন্ধন পেতে নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা, দেশে কৃষিজমি কমে যাওয়া এবং চালের উৎপাদন আশানুরূপ হারে না বাড়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের খবরসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিকখবর গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোতে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সোমবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে বা প্রথম পাতায় গুরুত্বের সঙ্গে ছেপেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশের আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা তৎপর হয়ে উঠেছেন– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘নির্বাচন ইস্যুতে তৎপর বিদেশিরা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছেন বিদেশিরা। সরকারের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইছেন তারা। মূলত নির্বাচনের সময় নিয়েই আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিদেশিরা। এর পাশাপাশি কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হচ্ছে এবং এতে কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না, তা নিয়েও কথা বলছেন তারা।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন আছে পশ্চিমা থেকে পুবের প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রের। সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগের বিষয়েও জোরালো সমর্থন দিয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলো। সংস্কারের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার নয় মাসের মাথায় নির্বাচনের টাইমলাইন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দেশের অভ্যন্তরেই। এ কারণেই প্রতিটি আলোচনাতেই কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চাইছেন বিদেশিরা।

প্রথম আলো
‘মানবিক করিডর’ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি বলে যে মন্তব্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান করেছেন, সেই খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘করিডর নিয়ে চুক্তি হয়নি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মানবিক করিডর’ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মানবিক করিডর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। আমরা মানবিক করিডর কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি করিনি।’
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহায়তা পৌঁছাতে মানবিক করিডর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ কথা জানান। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) অডিটরিয়ামে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।

সমকাল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নামসর্বস্ব অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে তৎপর হয়ে উঠেছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘ইসিতে নিবন্ধন পেতে তৎপর নামসর্বস্ব ৬৫ রাজনৈতিক দল’ শিরোনামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে নামসর্বস্ব অনেক রাজনৈতিক দল। এসব দলের কোনোটির নেই কার্যকরী কমিটি; কোনোটি আছে শুধুই কাগজ-কলমে। আবার কোনো দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তো দূরের কথা, সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এখন পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ৬৫টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দলই গঠিত হয়েছে গত বছর ৫ আগস্টের পর। এসব দলের অফিস ও ঠিকানা, সাংগঠনিক কার্যক্রম খুঁজে বের করা এবং নথি-সংবলিত সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে মাঠে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির কাছে আবেদন করে নিবন্ধন পায়নি ৮৭টি দল। তারাও তাদের আবেদন পুনর্মূল্যায়নের জন্য ইসিকে অনুরোধ জানিয়েছে। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৫টি।

কালের কণ্ঠ
রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানিতে লাগাম টেনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা দীর্ঘ সময় অব্যাহত ছিল। আর এর প্রভাবে দেশে শিল্পোৎপাদনে বিপর্যয় নেমেছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘আমদানি হ্রাসে শিল্পে বিপর্যয়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানিতে লাগাম টানার চড়া মূল্য দিচ্ছে দেশের শিল্প খাত। রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানিতে লাগাম টেনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা দীর্ঘ সময় অব্যাহত ছিল। এতে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি কমেছে। এর অর্থ হলো বিনিয়োগ কম হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, আমদানি কমিয়ে ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অর্থনীতির জন্য হিতে বিপরীত হয়েছে। ডলার সংকটে কাঁচামাল আনতে না পেরে, চড়া মূল্য দিয়েও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি না পেয়ে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো কারখানা সক্ষমতার অর্ধেক কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় খেলাপিতে পরিণত হয়ে পড়ছেন ভালো ঋণগ্রহীতারাও। এমন পরিস্থিতিতে গভীর সংকটের মুখে পড়েছে বেসরকারি খাত।

ইত্তেফাক
পরিবহন সেক্টরের মাফিয়া খন্দকার এনায়েত উল্লাহ চাঁদাবাজি করে হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘পরিবহনের এনায়েত উল্লাহ লুটে নিয়েছেন হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবহন সেক্টরের মাফিয়া খন্দকার এনায়েত উল্লাহ চাঁদাবাজি করে তুলেছেন হাজার কোটি টাকা। পুরো চাঁদাবাজিতে এনায়েত উল্লাহ ‘ক্যাশিয়ারের’ ভূমিকায় থাকলেও তার হাত ধরেই ভাগ পেয়েছেন সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা। গত ১৫ বছর দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক তার দখলে থাকলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রয়েছেন পলাতক। সড়কের একচ্ছত্র এ সম্রাটের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
এমন অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিমধ্যে খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ৪০টি ব্যাংক হিসাবে ১২৫ কোটি ৭২ লাখ ২৯ হাজার ২৮০ টাকা জমা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যার অধিকাংশই তার ব্যক্তিগত সঞ্চয় হিসাব বলে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। এদিকে গতকাল রবিবার খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার পরিবারের সদস্য ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত ১৯০টি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এসব গাড়ি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয়, মেয়ে চামশে জাহান নিশি এবং তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে রয়েছে। স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এনা পরিবহন ও স্টারলাইন স্পেশাল লিমিটেডের নাম রয়েছে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

যুগান্তর
মহান স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ প্রায় ১৪শ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের খোঁজ রাখেনি কেউ– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘১৪শ শহিদ পরিবার নিখোঁজ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহান স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। এরমধ্যে অসংখ্যবার কাটছাঁট হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা। দলীয় বিবেচনায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সুবিধা। অথচ রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে শহিদ প্রায় ১৪শ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের খোঁজ রাখেনি কেউ। অন্তর্বর্তী সরকার এসব নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার খুঁজে বের করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের নিয়ে একটি পৃথক তালিকা তৈরি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকায় ২ বীরশ্রেষ্ঠ, ৫ বীর বিক্রম ও ২ বীর প্রতীকের নাম আছে। সেই তালিকা যুগান্তরের হাতে পৌঁছেছে।
নিখোঁজ শহিদ পরিবারের সন্ধান করে প্রাপ্য সম্মান বুঝিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে মনে করছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি যুগান্তরকে বলেন, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছেন কেউ জানেন না। এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। কোনো সরকার এসে তাদের খোঁজ নেয়নি। যে যার মতো ক্ষমতায় এসেছে আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেছে। আমরা এসব নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার চিহ্নিত করে তাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে চাই। এরজন্য যা যা করণীয় আমরা করব।

বণিক বার্তা
সর্বশেষ পাঁচ বছরে আবাদকৃত জমির পরিমাণ প্রায় ২ শতাংশ কমেছে, যার বিপরীতে পাঁচ বছরে হেক্টরপ্রতি ফলন বেড়েছে কেবল ৪ শতাংশ, আর চাল উৎপাদন মাত্র ২ শতাংশ বেড়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘পাঁচ বছরে কৃষিজমি কমেছে ২ শতাংশ, চালের উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ২%’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে বাড়ছে না খাদ্যশস্যের উৎপাদন। কৃষিজমি হ্রাস, উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের অভাব, কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি এবং সে অনুপাতে কৃষক আয় করতে না পারাসহ নানা কারণ কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে। আর তাতে গত কয়েক বছর দেশের কৃষি খাত এক প্রকার অচলায়তনে রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বড় ধাক্কা লাগতে পারে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ধানের আবাদ হয়েছিল ১ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ হেক্টরে। আর সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আবাদকৃত জমি ১ কোটি ১৪ লাখ হেক্টরে নেমে আসে। অর্থাৎ সর্বশেষ পাঁচ বছরে আবাদকৃত জমির পরিমাণ কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। এভাবে প্রতি বছরই কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। এর বিপরীতে পাঁচ বছরে হেক্টরপ্রতি ফলন বেড়েছে কেবল ৪ শতাংশ। আর চাল উৎপাদন মাত্র ২ শতাংশ বেড়েছে।

নয়া দিগন্ত
মানবিক করিডোরের নামে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ কোনো প্রক্সি যুদ্ধে জড়াবে না বলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মন্তব্য দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘মিয়ানমারের সাথে প্রক্সিযুদ্ধে জড়াবে না বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বলেছেন, মানবিক করিডোরের নামে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মিয়ানমারের সাথে কোনো প্রক্সি যুদ্ধে বাংলাদেশ জড়াবে না। এটা নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা নিছকই অপতথ্য ও গুজব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশটিতে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরি হোক, এমন কিছুই বাংলাদেশ করবে না। এ ব্যাপারে মিয়ানমারকে আশ্বাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন : আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ও ভবিষ্যৎ’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

আজকের পত্রিকা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভবন নির্মাণে অনিয়ম পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: অনিয়মের সিঁড়ি বেয়ে নির্মাণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভবন নির্মাণে অনিয়ম পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। ১৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এসব ভবন নির্মাণে কোনো প্রকল্প করা হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও নেওয়া হয়নি। খরচ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের ‘ইচ্ছেমতো’। নিরীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে দুই অর্থবছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি অনিয়মে সরকারের আর্থিক ক্ষতি ৩৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৬২ হাজার ৬১৭ টাকা।
বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এসব অনিয়ম ও আর্থিক ক্ষতির কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে ওই টাকা আদায়ের পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

দেশ রূপান্তর
নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) এক লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন সার আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘পোটনের পেটে বিএডিসির দুই লাখ টন সার’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) এক লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন সার আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। এ পরিমাণ সারের মূল্য এক হাজার ৮৪ কোটি টাকার বেশি। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের ৫৮২ কোটি টাকা মূল্যের ৭২ হাজার টন সার আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণও পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের যে দাবি তা সহসা আলোর মুখ দেখছে না– এমন আরেকটি প্রতিবেদন প্রথম পাতায় গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে দেশ রূপান্তর। ‘সহসা প্রত্যাহার হচ্ছে না হেফাজতের মামলা!’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের যে দাবি তা সহসা আলোর মুখ দেখছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে যেসব কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করেছেন তারা এখন সংশ্লিষ্ট থানায় নেই। ফলে নতুন করে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত না হওয়ায় মামলাগুলোর সুরাহা হচ্ছে না। এখনো মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকেও পুলিশ সদর দপ্তরে কোনো নির্দেশনা আসেনি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আশার আলো দেখে আসছিল হেফাজত নেতারা। কিন্তু এখনো কার্যত কোনো কিছু দৃশ্যমান না হওয়ায় অনেকটা হতাশ দলটির নেতা-কর্মীরা। তবে বর্তমান সরকার আশ্বাস দিয়েছে, হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানা গেছে।