‘একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের কবলে সরকারি ক্রয়’

newspaper

‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য নিয়ে বুধবার প্রধান প্রতিবেদন করেছে অনেক সংবাদপত্র। পাশাপাশি গুরুত্ব পেয়েছে উপদেষ্টার পদ থেকে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের খবরও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বুধবার কোন সংবাদপত্রের কী শিরোনাম এসেছে।

প্রথম আলো

আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় থাকা নতুন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের খবর নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘নতুন দলের দায়িত্ব নিতে সরকার ছাড়লেন নাহিদ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেন মো. নাহিদ ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে।

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে গঠিত হতে যাওয়া নতুন দলে নাহিদের সঙ্গে সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন আখতার হোসেন। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক। এই দুজন একসময় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে নতুন ছাত্রসংগঠন তৈরি করে আখতার এটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও নাহিদ সদস্যসচিব হন।

নতুন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করবেন, এমন আলোচনা কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছিল। অবশেষে গতকাল দুপুরের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাহিদ পদত্যাগপত্র জমা দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

কালের কণ্ঠ

‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার দেওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য নিয়ে প্রধান  প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘কাদা ছোড়াছুড়ি সার্বভৌমত্বের হুমকি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি, মারামারি ও কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। এই দেশ আমাদের সবার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারি।’’

গতকাল মঙ্গলবার ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে ‘২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।

জেনারেল ওয়াকার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে, চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দিন শেষে যেন আমরা সবাই দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে সবাই যেন এক থাকতে পারি। কেবল এক থাকলেই এ দেশ উন্নত হবে, সঠিক পথে পরিচালিত হবে। না হলে আমরা আরো সমস্যার মধ্যে পড়ে যাব। ওই দিকে আমরা যেতে চাই না। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন সতর্ক করিনি।’

সমকাল

আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় থাকা ছাত্রদের রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ঘিরে টানাপোড়েনের খবর নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘শেষ সময়েও নতুন দলের নেতৃত্বে টানাপোড়েন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতাদের রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ ছেড়েছেন নাহিদ ইসলাম। আগামী শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া দলটির আহ্বায়ক পদে তাঁর দায়িত্ব নেওয়া নিশ্চিত হলেও অন্য শীর্ষস্থানীয় পদ ও কমিটিতে কারা থাকছেন– তা নিয়ে শেষ সময়েও চলছে টানাপোড়েন। সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে কমিটির আকার বড় হতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির (জানাক) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের আত্মপ্রকাশের প্রস্তুতি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বড় জমায়েতের মাধ্যমে রাজপথের শক্তি দেখানো হবে। সদ্য পদত্যাগ করা উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ সভায় আসবেন বলে গুঞ্জন থাকলেও তা সত্যি হয়নি। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো এক দফার ঘোষণা করা এই ছাত্রনেতা প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করে শিগগির দলে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর নাহিদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার শক্তিকে সংহত করতে সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে আমার ভূমিকা বেশি হবে।’

ইত্তেফাক

‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষে সোমবার দেওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে ছেপেছে ইত্তেফাকও। ‘মারামারি-কাটাকাটি করলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলবেন যে, আমি সতর্ক করিনি, আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, এই দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম, নইলে আপনারা বলবেন যে, আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের।’ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়ে ‘মারামারি-কাটাকাটি আর কাদা ছোড়াছুড়ি’ বন্ধ করার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের হেলমেট হলে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবসের’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘দেশে সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি কাটাকাটি মারামারি। সেই উদ্দেশ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সাহায্য করুন, সোনাবাহিনীকে আক্রমণ করবেন না, আমাদের অনুপ্রাণিত করুন। আমাদের উপদেশ দেন। আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই এবং দেশ এবং জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

যুগান্তর

উপদেষ্টার পদ থেকে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় থাকা তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিতে সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগের পর তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করার লক্ষ্যে পদত্যাগ করেছি। সরকারের চেয়ে বাইরে রাজপথে আমার ভূমিকা বেশি হবে।’

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)। এদিন রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দলের আত্মপ্রকাশ হবে। এতে পাঁচ লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। ওইদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই দলের দায়িত্ব নেবেন সদ্য বিদায়ি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় আছে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি। নতুন এ দলের দায়িত্ব নিতে সরকারের উপদেষ্টা পদ ছাড়বেন নাহিদ ইসলাম-এমন গুঞ্জন কয়েক সপ্তাহ ধরে। তবে সব আলোচনার ইতি টেনে মঙ্গলবার উপদেষ্টা থেকে পদত্যাগ করলেন নাহিদ।

বণিক বার্তা

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।  ‘শিল্পে বছরের পর বছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগেও সাড়া মেলেনি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে অর্থায়নের উৎস ও পণ্য উৎপাদন বিষয়ে বিনা প্রশ্নে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছিল সরকার। তবে তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। একইভাবে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও মাত্র ১০ শতাংশ করের বিনিময়ে আয়ের উৎস নিয়ে বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল রাখা হয়। এক্ষেত্রেও তেমন সাড়া মেলেনি। এখন পর্যন্ত দেশে সরকারের দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে মূলত জমি, ফ্ল্যাট, এফডিআর, পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগের মাধ্যমে।

শিল্প খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতির মূল ধারায় অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার নজির তেমন একটা না থাকার কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতে যে কালো টাকা তৈরি হয়, সেটি দেশের বাইরে পাচার হয়ে যায়। ফলে শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হলেও এতে সাড়া পাওয়া যায় না। আবার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে সরকারি সংস্থাগুলোর নজরে পড়তে না চাওয়ার বিষয়টিও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

নয়া দিগন্ত

শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ পুলিশের ৮২ কর্মকর্তাকে ওএসডি করার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়াদিগন্ত। ‘অতিরিক্ত আইজিসহ ৮২ পুলিশ কর্মকর্তা ওএসডি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক অতিরিক্ত আইজিপিসহ পুলিশের ৮২ শীর্ষ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। এর মধ্যে সৈয়দ নুরুল ইসলাম, শাহ মিজান শাফিউর রহমানসহ বেশকয়েকজন বিতর্কিত কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের দোসরসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। আছে খুনের মামলাসহ গুরুতর অভিযোগ। প্রশ্ন জেগেছে এসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এতো এতো অভিযোগ থাকার পরেও কেন এত দেরি হলো তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর পলাতক রয়েছেন এবং কর্মস্থলেই যোগ দেননি। তাদেরকে এখনো বরখাস্ত না করে ওএসডি করার বিষয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।

ওএসডির তালিকায় অতিরিক্ত আইজিপি আবদুল আলীম মাহমুদ এবং ১৩ ডিআইজি, ৪৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১৯ জন পুলিশ সুপার পদের কর্মকর্তা রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক তিনটি আদেশ জারি করা হয়েছে। ওএসডি মূলত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কার্যত দায়িত্বহীন করে দেয়া। সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হলে তা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই ধরা হয়। যদিও সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের অংশ।

দেশ রূপান্তর

আওয়ামী লীগের আমলে বিগত তিন জাতীয় নির্বাচনে বিপুল অর্থ ব্যয় বিষয়ক সংবাদকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তরও। ‘নিয়ন্ত্রিত ভোটে অনিয়ন্ত্রিত খরচ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানে গদিচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি প্রকাশিত হচ্ছে ক্রমেই। মেগা প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রের অর্থের হরিলুট হয়েছে। আওয়ামী মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। প্রায় বিনাভোটে এমপি হয়েছেন দলটির নেতারা। একতরফা নির্বাচনে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা খরচ করেছে তৎকালীন সরকার। রাতের ভোট নিয়েই বেশি হইচই হয়েছে দেশ-বিদেশে। এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকারও।

এসব নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাদের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে, তাদের তালিকা গুছিয়ে আনা হয়েছে। ২০১৮ সালে যেসব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ৩৩ জন ডিসিকে ওএসডি এবং পুলিশের চারজন ডিআইজি ও দুজন অতিরিক্ত ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল লোকদেখানো। এর পেছনে যে অর্থ খরচ হয়েছে, তা নজিরবিহীন। এর প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতেও পড়েছে। এতে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। আমি-ডামি আর রাতের ভোট হয়েছে। এখনই সময় যথাযথ তদন্ত করে যারা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা; বিচার করা।’

আজকের পত্রিকা

বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের নির্দেশনা সংক্রান্ত সংবাদ দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘অরাজনৈতিক প্রকল্পে অনাপত্তি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে যেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, অসমাপ্ত এমন ভালো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনে নতুন করে তাঁদের পরিকল্পনা পাঠাতে বলা হয়েছে।

রাজধানীতে গতকাল রোববার শুরু হওয়া তিন দিনের ডিসি সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর কার্যালয়ে এ সম্মেলন উদ্বোধন করে ডিসিদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও এর আওতাধীন দপ্তরের কার্য-অধিবেশনেও অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক অধিবেশনগুলো হয়েছে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিসি সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ডেইলি স্টার

সরকারি কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার। ‘Govt procurement under monopolistic control’ বা ‘একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের কবলে সরকারি ক্রয়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সরকারি টেন্ডারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গবেষণায় দেখা গেছে যে, গত ১২ বছরে সরকারের সব ধরনের টেন্ডারিংয়ের প্রায় ১৭ শতাংশ ক্ষেত্রে একজন মাত্র দরপত্রদাতা অংশ নিয়েছেন। এর মানে হচ্ছে, কোনো ধরনের প্রতিযোগিতার সুযোগ না রেখেই হাতেগোনা কয়েকজন দরপত্রদাতাকে কাজ দেওয়া হয়েছে, যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী।

আরও পড়ুন