অগ্রযাত্রার যাত্রী নারী

woman
Picture of সামসুজ্জামান চৌধুরী

সামসুজ্জামান চৌধুরী

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ; এগিয়ে যাচ্ছে নারী। নারীর ক্ষমতায়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এখন বাংলাদেশ, যা বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই রোল মডেল। খেলাধুলা, বিজ্ঞান, গবেষণা, আবিষ্কার, রাজনীতি, প্রশাসন, পররাষ্ট্র এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব ক্ষেত্রেই নারীর লক্ষণীয় সরব উপস্থিতি। প্রথম নারী স্পিকার, প্রথম নারী উপাচার্য, প্রথম নারী পর্বতারোহী, বিজিএমইএর প্রথম নারী সভাপতিসহ অসংখ্য পদাধিকারী প্রথম দেখেছি আমরা। তাদের পথ ধরে নতুনরা প্রতিনিয়ত নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছেন। অগ্রযাত্রায় তরুণ যাত্রীদের অংশগ্রহণ উজ্জ্বল উদাহরণ তৈরি করেছে। 

আইসিসির ২০২৩ সালের বর্ষসেরা নারী উদীয়মান ক্রিকেটার মনোনীতদের তালিকায় উঠে এসেছেন পেসার মারুফা আক্তার। চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকার বাকিরা হলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ফিবি লিচফিল্ড, ইংল্যান্ডের পেসার লরেন বেল ও স্কটল্যান্ডের অলরাউন্ডার ডার্সি কার্টার। ১৮ বছর বয়সী মারুফা নিজের প্রথম আইসিসি ইভেন্টেই নজর কাড়েন। মারুফা আক্তারের জন্ম নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের ঢেলাপীর এলাকায়। বাবা আইমুল্লাহ হক বর্গাচাষি আর মা মর্জিনা বেগম গৃহিণী। মা-বাবা, চার ভাইবোনসহ ছয়জনের বেশ বড়সড় পরিবার। বড় ভাই আল-আমিন অনার্স করছেন নীলফামারী সরকারি কলেজে। মেজো ভাই আহসান হাবিব একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন কাদিখোল কম্পিউটার কলেজে। তাঁর পিঠাপিঠি বড় বোন মাহফুজা আক্তারের বিয়ে হয়েছে। গৃহিণী এই বোনের স্বামী কৃষিকাজ করেন। কেবল ভিটেমাটি ছাড়া আর কোনো জায়গা-জমি নেই মারুফাদের। ঘরের যেই ভিটে তাও মারুফার নানার দেওয়া। তবে এখন বদলে যাচ্ছে সব। কেবল নিজের পরিবারই নয়, মারুফা বদলে দিচ্ছেন দেশের লাখো মেয়েদের চিন্তাভাবনা। দেখাচ্ছেন নতুন দিনের স্বপ্ন।

আরও পড়ুন