তবে কি একটি কিংস পার্টি হচ্ছেই? পুরনো রাজনীতিকরা আলোচনাটি এভাবেই করছেন। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের যে নেতারা এই দলটি গঠনের উদ্যোক্তা, তারা কিংস পার্টি তকমা নিতে নারাজ। তারা বলছেন, লক্ষ্য তাদের অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন। তাই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের এই প্রয়াস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ গঠনের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়াস শুরু হয়।
তবে অভ্যুত্থানের তিন ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দেওয়ার পর তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আবার রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে প্রতিক্রিয়া আসে বিএনপি থেকে। দলটির নেতারাই একে ‘কিংস পার্টি’ বলতে শুরু করেন।
এনিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়ায় এগোতে থাকে ছাত্ররা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তোলার পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের ভোটের অঙ্ক মেলানোর এক ধরনের ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে রোববার বাংলাদেশে সংবাদ মাধ্যমে আলোচনার বড় বিষয় ছিল অভ্যুত্থানকারীদের নতুন দল। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকেই এই দলের ঘোষণা আসবে, তেমনটাই বলা হচ্ছে। আলোচনা চলছে এখন ধরবে এই দলের হাল, কোন নামে চলবে এই দল, কী হবে আদর্শ, তা নিয়ে।
কী নাম হবে?
১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো এক দিন নতুন রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছে, ফেব্রুয়ারির শেষাংশে দলের ঘোষণা আসতে পারে।
নতুন দলের পথ নির্দেশনা চূড়ান্ত করতে এখন কাজ করছেন নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বিভিন্ন দেশে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা দল নিয়েও তারা গবেষণা করছেন।
এর মধ্যে ভারতের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি এবং পাকিস্তানের ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফও (পিটিআই) রয়েছে।
এই তিনটি দলের কর্মসূচি, সাংগঠনিক কাঠামো ইত্যাদি বিশ্লেষণ করছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ।
তিনি বলেন, “এই পার্টিগুলো আসলে কীভাবে জনগণের কাছে গিয়েছে, জনগণের ভাষা বোঝার ক্ষেত্রে তারা কোন ধরনের কৌশল নিয়েছে, তাদের গঠনতান্ত্রিক কাঠামোটা কেমন -এসব বিষয় আমরা স্টাডি করছি।
“এখানে দেখবেন এরদোয়ানের পার্টি কিন্তু ফোকাস করেছে ইনসাফের ওপর। তার নামই হচ্ছে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। ভারতের আম আদমি পার্টি দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করেছে। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম করেছে। আমরা সেগুলোও দেখছি।”
নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন প্রথম আলোকে বলেন, নিজেদের দলের নাম ঠিক করতেও জনগণের চাওয়ার কথা শুনছেন তারা।
“সাধারণ কি-ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে বেশি এসেছে ‘গণতন্ত্র’, ‘নাগরিক’, ‘জাস্টিস’ ও ‘বৈষম্যবিরোধী’। অর্থাৎ বেশিরভাগ মানুষ চান নতুন দলের নামের মধ্যে এ ধরনের শব্দ থাকুক। তবে আরও দেখতে হবে। মানুষের মতামতের ভিত্তিতে দলের নাম চূড়ান্ত করা হবে।”
এদিকে জাস্টিস পার্টি নামে একটি দল রয়েছে। যারা নতুন দল গঠনের আলোচনা শুনেই বিবৃতি পাঠিয়ে বলেছে, একই নামে আরেকটি দল হতে পারে না। আবার ইনসাফ পার্টি নামে একটি দল গড়েছিলেন চিত্রনআয়ক সোহেল রানা। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় মুহাম্মদ ইউনূস যে রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তার নাম ছিল নাগরিক শক্তি।
নতুন দল গঠনের পাশাপাশি একটি ছাত্র সংগঠনের কথাও ভাবছেন এর উদ্যোক্তারা। তবে তার নাম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ হবে না। তা হবে ভিন্ন কোনো নামে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি যেহেতু গণ-অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম, তাই এটি এই নামেই থেকে যাবে। জাতীয় নাগরিক কমিটিও বহাল থাকবে।
নেতা হচ্ছেন কে?
নতুন দলের আহ্বায়ক হিসাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সময়ের সমন্বয়ক ও বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নােই বেশি আলোচিত হচ্ছে।
সদস্য সচিব হিসাবে আসছে আখতার হোসেন ও নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নামও সদস্য সচিব হিসেবে আলোচনায় আছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃস্থানীয় দুজন নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নাহিদ নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে সরকার থেকে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে থাকছেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব প্রথম আলোকে বলেন, শীর্ষ পদে নাহিদ ইসলামকেই সবার পছন্দ। দ্বিতীয় শীর্ষ পদের জন্য আলোচনায় আছেন আখতার হোসেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সারজিস আলম।
সারজিস রোববার নারায়ণগঞ্জে এক সমাবেশে বলেন, “নতুন দলে অভ্যুত্থানের অন্যতম সহযোদ্ধা নাহিদ ইসলামকে আমরা আমাদের জায়গা থেকে জানিয়েছি, ওই ক্ষমতার চেয়ার থেকে জনতার চেয়ারে এসে গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য।”

নাহিদ এরই মধ্যে জানিয়েছেন, দলের দায়িত্ব নিতে হলে উপদেষ্টার দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন তিনি।
নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্রের বরাতে প্রথম আলো জানায়, নতুন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে কে আসছেন, তা নিয়ে একধরনের প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রধান দুটি পদের বাইরে অন্য শীর্ষ পদগুলোতে পছন্দের নেতাদের বসাতে তৎপর নাগরিক কমিটির বিভিন্ন অংশ।
বিশেষ করে নাগরিক কমিটিতে থাকা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতারা এ ক্ষেত্রে বেশ সক্রিয় বলে জানা গেছে। জাতীয় নাগরিক কমিটিতে মধ্যপন্থী ও বামধারার নেতারাও রয়েছেন। তারা চান, প্রধান দুটি পদের বাইরে শীর্ষ পর্যায়ের অন্য পদগুলোতে নিজেদের পছন্দের নেতারা থাকুক।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার তুষার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের দলে প্রবীণদেরও নেওয়া হবে। তবে তরুণদের আধিক্য থাকবে।
দেড়শ থেকে ২০০ জনের একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে দলের গোড়াপত্তনের কথা ভাবছেন উদ্যোক্তারা। ধীরে ধীরে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩০০ জনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কী হচ্ছে আদর্শ?
নাগরিক কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি সেল সম্পাদক আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদর্শিক ও রাজনৈতিক মতপার্থক্যগুলো দূরে রেখেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। এখন সেই একই ধারায় নাগরিক কমিটি এগিয়ে যাচ্ছে।
নতুন দলের উদ্যোক্তারা বলছেন, বাম কিংবা ডান কোনো দিকে না গিয়ে মধ্যপন্থী অবস্থান নেবেন তারা।
নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা একটা মধ্যপন্থী রাজনীতির কথা বলছি। আমরা বাম-ডান এমন যে বিভাজন আছে সেগুলোতে ঢুকতে চাই না। আমরা বাংলাদেশ প্রশ্নে এক থাকতে চাই। ইসলাম ফোবিয়ার রাজনীতি অথবা উগ্র ইসলামপন্থী বা উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির মধ্যেও আমরা নেই।”
নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা এখানে সাম্য, ন্যায়বিচার এবং সুশাসনের কথা বলছি। এটাকেই হাইলাইট করতে চাই।
“একইসঙ্গে একটা রাষ্ট্রে যে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বসবাস করে, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে, সেই বহুত্ববাদকে স্বীকার করেই কীভাবে একটা এগ্রিমেন্টের মধ্য দিয়ে এগোনো যায় যেভাবে আমরা অভ্যুত্থানে এগিয়েছি, সেইটা হচ্ছে আমাদের মূল ফোকাস পয়েন্ট।”
নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা অধিকারের রাজনীতি, দায় ও দরদের রাজনীতি এগুলোকে সামনে নিয়ে আসব, যাতে এখানে নির্দিষ্ট কোনো মত বা ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে না ওঠে।”
ভোটের অঙ্ক
আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নতুন দল নিবন্ধন সেরে ভোটে অংশ নেওয়ার আগে দল গোছাতে সময় পাবে সর্বোচ্চ ১০ মাস।
এরই মধ্যে বিএনপি থেকে নতুন দল নিয়ে সন্দেহের কথা বলা হয়েছে প্রকাশ্যে। পাশাপাশি গত ১১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছিল, “সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ায় জড়িত রয়েছেন বলে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করার নানা ধরনের লক্ষণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে। এটি দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সম্প্রতি এক সভায় বলেন, “রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন, সেটি জনগণকে হতাশ করবে। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তরুণেরা নতুন পথ রচনা করবেন। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথ নয়। পথটি অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিৎ।”
বিপরীতে রোববারে নারায়ণগঞ্জের সমাবেশে সারজিস বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “বিগত ১৬ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা ছিল, যাদের আপনারা খুঁজে পান নাই, কিন্তু তারা নতুন করে বিভিন্ন রূপে বাংলাদেশে এসে আপনার মাথায় হাত বোলাচ্ছে। সময়মতো এরা আবারও আপনাদের ফেলে পালিয়ে যাবে।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে বৈষম্যবিরোধীরা। আর শূন্য স্থানটি দখলের চেষ্টায় এখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নতুন করে তুলেছে তারা।
আবার বিএনপি থেকে দূরে সরে যাওয়া জামায়াত এখন বৈষম্যবিরোধীদের পাশে পেতে চাইছে। জুলাইয়ে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের একদল নেতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে কাতারে ছিল। তারা এখন নতুন দলে স্থান নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার করে নির্বাচনের চেষ্টা চালাবে, এমন কথাও উঠছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, “ইসলামিক ছাত্র শিবির থেকে নাগরিক কমিটিতে আসা একটি পক্ষ বলছে, চমক হিসেবে কয়েকটি দলের তরুণ নেতাদের দেখা যেতে পারে এই দলে। কেউ কেউ দল ঘোষণার সময়, কেউ কেউ আবার নির্বাচনের আগে দলে যোগ দিতে পারেন।”
জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতাদের নতুন দলের সঙ্গেও নির্বাচনী সমঝোতা এড়িয়ে দিচ্ছেন না জামায়াত আমির শফিকুর রহমানও।
তিনি প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “অতীতে দেশের স্বার্থেই রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছে। এখন যদি দেখতে পাই, ছাত্রদের মধ্যে যারা নতুন দল গঠন করার কথা বলছেন, তাদের পারফরম্যান্স, তাদের পরিকল্পনা, মনোভাব ভালো কিছু হয়, সমঝোতা হতে পারে।”
এদিকে নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠন সারজিস বলছেন, “মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় এমন অনেক মহল রয়েছে, যারা আমাদের মধ্যে বিভাজন ঘটানোর জন্য বিভিন্ন পদের বিপরীতে বিভিন্নজনকে বসিয়ে বিভিন্ন রকমের তথ্য বা নিউজ ছড়াচ্ছেন। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে; কিন্তু দল ও দেশের প্রশ্নে আমাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র বিভেদ হবে না। কোনো পদ আমাদের আগামীর বাংলাদেশের পথচলাকে নির্ধারণ করবে না।”
এ সম্পর্কিত আরও খবর: