সারাদেশে শুরু যৌথবাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’

Bangladesh Government

গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানোর সময় বিক্ষুব্ধ জনতার মারধর ১৪ জন আহত হওয়ার পর সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার।

শনিবার রাত থেকে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে এই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ফয়সল হাসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আগের দিন রাতে গাজীপুরের ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধীদের দেওয়া আল্টিমেটামের পর শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার থেকেই গাজীপুর এলাকাসহ সারাদেশে এই অভিযান শুরু হবে। তবে কেন ও কী কারণে এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সে বিষয়ে কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি।

শনিবার বেলা ১২ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাজীপুরে এলাকাবাসীর মারধরে আহতদের দেখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, “আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা তো নিচ্ছিই, যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনা হবে। তাদের যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয় এ ব্যবস্থা করা হবে।”

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে টানা দু’দিন ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পর গাজীপুর নগরীর ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে যায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। অবশ্য সেখানে এলাকাবাসী ঘেরাও করে তাদের মারধর করলে অন্তত ১৪ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার ও বৃহস্পতিবারের ঘটনায় দৃশ্যত অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিস্পৃহতা নিয়ে সমালোচনা উঠলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি গত দু’দিনে। শেষমেশ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা প্রতিরোধের মুখে পড়লে টনক নড়লো ইউনূসের সরকারের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads