কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর ভারতের হুমকির প্রেক্ষপটে পাকিস্তান ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির জরুরি বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
ভারতের পদক্ষেপ কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার রূপরেখা তৈরি করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে বসেন।
হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীকে। আরব সাগরের পাক নৌবাহিনীর মহড়ার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক জানান, সন্ধ্যায় জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে উপস্থিত হয়ে তিনি ভারতের তীব্র সমালোচনা করে দেশটির পদক্ষেপকে “অপরিণত” এবং “তাড়াহুড়ো” বলে অভিহিত করেন।
“ভারত কোনও প্রমাণ দেয়নি। তারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় কোনও পরিপক্কতা দেখায়নি। এটি একটি অ-গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ঘটনার পরপরই তারা প্রচারণা শুরু করে,” ” বলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের পদক্ষেপ নিয়ে যে আলোচনা হবে তা অনেকটা অনুমেয় ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
এদিকে জঙ্গি হামলার পর তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পহেলগাম ঘুরে দিল্লি ফেরার পরেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শুরু হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক। আড়াই ঘণ্টা চলে ওই বৈঠক। আপাতত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছ’দফা কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
তবে কেবল কূটনৈতিক নয়, ভারতের আরও বড় কোনও পদক্ষেপের আশঙ্কা করছে পাকিস্তান।
ইতোমেধ্য ভারতের সীমান্তগুলোতেও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি একশ মিটার অন্তর অন্তর সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন রয়েছে। এক কিলোমিটার অন্তর তৈরি করে ফেলা হয়েছে সেনা ছাউনি। পাহাড়-জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তার ওপর রয়েছে কড়া নজরদারি।