সংস্কার ও বিচারের নামে দীর্ঘমেয়াদে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, কেউ যদি সংস্কার ও বিচারের নামে দীর্ঘমেয়াদে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে চায় সেটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও সংগ্রাম করবে বিএনপি।
শনিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, যারা ১৪ দলের নামে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল, তারাই এখন সংস্কার কমিশনে এসে বড় বড় কথা বলছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে, তারা একটি চরের দল। তারা আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছিল।
“গণতন্ত্রের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্বল্পমেয়াদী সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। জনগণ ম্যান্ডেট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনলে সংবিধানসহ সব সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে,” যোগ করেন তিনি।
দ্বিমত ও বিরোধিতা থাকলেও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতে আটকে থাকা এই বিএনপি নেতা।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও হাতে নেই। একজন ভদ্রলোক মানুষ ওয়াদা করছেন, তিনি তার ওয়াদা পূরণ করবেন, যথাসময়ে নির্বাচন দেবেন, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা ধৈর্য ধরে আছি।
শিক্ষা আর স্বাস্থ্য খাত জামায়াত ইসলামী দখল করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, “ওখানে আর কারও কোনো ঠাঁই নাই। যারা নির্বাচন চায় না, সংস্কার সংস্কার করে, তারা তো ভারতের দালাল। এরাই কিন্তু আওয়ামী লীগের জঘন্য লোকদের তাদের দলের সদস্য বানাইতেছে গোপনে। পরাগ মণ্ডল যে অপহরণ হলেন, আপনার সবাই জানানে কে অপহরণ করেছে। এখন শুনি তিনি জামায়াতের নেতা। জামায়াত কী জিনিস আপনারা একটু চিনে রাখেন।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।