স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল

Procession at Dhaka University

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, মাগুরার ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচারসহ একাধিক দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর একটি জোট।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই মশাল মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি নীলক্ষেত হয়ে হলপাড়া ঘুরে আবার টিএসসিতে এসে শেষ হয়।

মশাল মিছিলে, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘আছিয়ার হত্যাকারীদের, বিচার করো করতে হবে’, ‘খুন ধর্ষণ হয়রানি শেষ, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’, ‘আছিয়া মরলো কেন, রাষ্ট্র জবাব চাই’, ‘ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ করতে হবে’, ‘খুন ধর্ষণ যেখানে, লড়াই হবে সেখানে‘, ‘খুন ধর্ষণ নিপীড়ন, রুখে দাও জনগণ’, ‘হামলা মামলা হুলিয়া, নিতে হবে তুলিয়া’সহ একাধিক স্লোগান দিতে দেখা যায়G

মিছিল শুরুর আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, “আজ ধর্ষণের শিকার হয়ে আমাদের বোন আছিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর সঙ্গে আমরা কেউ প্রতারণা করবো না। এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করিয়েই আমরা আমাদের আন্দোলন শেষ করবো।”

যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এদেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না তার এই পদে থাকার কোনও দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর ধর্ষণের বিচার চেয়ে যখন আমরা স্মারকলিপি দিতে গেলাম পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করলো। আমাদের নামে মামলাও হয়েছে। পুলিশের গেঞ্জি ছেঁড়া নিয়ে যারা কান্নাকাটি করছে তাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার মেট্রোরেলের পিলার ধরে কান্নার কোনও পার্থক্য নেই।”

মশাল মিছিলের আগে শিশুটির মৃত্যুতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল শিশুটি। গত বৃহস্পতিবার অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই আজ শিশুটি মারা যায়।

এ ঘটনায় গত শনিবার শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার মা। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মাগুরার এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনা চলছে। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।

আরও পড়ুন