‘সমাধান হয়ে গেছে,’- ছোট্ট কথায় সবটুকু বলে দিয়েছেন পিটার জেমস বাটলার। বিদ্রোহ অবসানের পর ফুটবলারদের বেশিরভাগই ফিরেছেন অনুশীলনে।
প্রধান কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে অনুশীলন বর্জন করছিলেন ১৮ জন ফুটবলার। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বাফুফের মধ্যস্থতায় এর সমাধান হয়। তবে এরপরও শঙ্কার জায়গা ছিলই। যেটা কেটে গেল দলের অনুশীলন দেখে।
বিদ্রোহ করা ১৮ জনের মধ্যে ১৩ জন যোগ দেন আবাহনী মাঠে মঙ্গলবারের অনুশীলনে। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে চার জন সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়া খেলছেন ভুটানের লিগে। গত সাফ জয়ে পাঁচ গোল করা তহুরা বোনের অসুস্থতার কারণে এখনও যোগ দেননি ক্যাম্পে।
আগামী জুন-জুলাইয়ে মিয়ানমারে উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাই খেলবে বাংলাদেশ। ছুটি শেষে দুই দিন আগে ঢাকায় মাঠে নেমে পড়েন বাটলার। সোমবার তার অনুশীলনে ছিলেন না বিদ্রোহীরা। তাতে সংশয় জাগে, সমস্যার প্রকৃত সমাধান হয়েছে কি না। তবে গোলরক্ষক কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল নিশ্চিত করলেন, শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে। অনুশীলন হয়েছে স্বাভাবিক পরিবেশে।
“পাসিং ড্রিল, পজিশন এবং ফিটনেস অনুশীলন হয়েছে। অনেক দিন পর… এই হিসেবে সবাই কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক ভালো করেছে। যদিও লম্বা সময় খেলার বাইরে থাকায় ফিটনেসের অবস্থা আপ টু দ্য মার্ক নয়, তবে একেবারে খারাপও নয়। দ্রুতই ফিটনেস ফিরে পাবে মেয়েরা।”
“টানাপোড়েনের কিছু নেই। যারা বিদ্রোহ করেছিল, তারাও আমাদেরই খেলোয়াড়, আমাদেরই মেয়ে। তারাও খেলতে চায় বলে ক্যাম্পে ফিরেছে। আশা করি, সবকিছু আগের মতোই চলবে।”
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত সোমবার মেয়েদের সঙ্গে আলোচনার সময় খেলোয়াড়দের মতো বাটলারও বলেছেন, অতীতের বিষয়গুলো ভুলে গিয়ে নতুন করে সব কিছু শুরু করতে চান তিনি।
“অনুশীলন এবং কোনো খেলোয়াড়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। আপাতত এতটুকুই কথা।”
এ সম্পর্কিত আরও খবর: