দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, ঢাকায় তীব্র যানজট

ঢাকায় পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

ঢাকার বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকরা।

সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনার জেরে পোশাকশ্রমিকরা সড়কের ইনকামিং এবং আউটগোয়িং উভয় দিকের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। এছাড়া, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন শ্রমিকরা। এতে বনানী, মহাখালী ও গুলশান এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার সকাল ছয়টার দিকে চেয়ারম্যানবাড়ি ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মিনারা আক্তার (১৯)। আহত আরেক পোশাকশ্রমিকের নাম সুমাইয়া আক্তার। আহত সুমাইয়াকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জিয়া রহমান জিকো বলেন, “চেয়ারম্যানবাড়ি ক্রসিংয়ে রাস্তা পারাপারের সময় একজন গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়।তবে কোন গাড়ি কীভাবে তাদের চাপা দিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।”

এরপর সকাল সাড়ে আটটার দিকে বনানী, মহাখালী ও গুলশানে যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। মহাখালী ও বনানীতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও এ সময় তীব্র যানজট হয়।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল সরকার বলেন, “যানজট সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।”

খিলক্ষেত থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে বলে জানান আরেক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বনানী, মহাখালী এবং গুলশান এলাকায় তীব্র যানজটের কারণে সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মহাখালী ও বনানীতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও তীব্র যানজট দেখা দেয়।

সাইফুল নামের এক যাত্রী বলেন, “আমি সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী ডিওএইচএস থেকে ইস্কাটনে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলাম, কিন্তু বনানী এক্সপ্রেসওয়ের প্রবেশপথে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকি। যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল, কোনো যানবাহন নড়ছিল না; এক্সপ্রেসওয়ের প্রবেশপথও বন্ধ ছিল।”

এদিকে গুলশানের ট্রাফিক বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, যান চলাচল সচল রাখতে বনানী-কাকলী ক্রসিং এবং মহাখালীর আমতলীতে ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে। গুলশান-২, গুলশান-১ হয়ে আমতলী দিয়ে ইনকামিং এবং একইপথে আউটগোয়িং চলাচল করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন