তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬

china earthquake

চীন-নেপাল সীমান্তের তিব্বত অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জন হয়েছে। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে বলে চীনের সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জীবিতদের খোঁজে রাতভর তল্লাশি চালিয়েছেন।

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, স্থানীয় সময় । মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমিলজির তথ্য বলছে, বেইজিং সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি অনূভূত হয়। কম্পনের উৎসস্থল নেপাল-চীন সীমান্তের কাছে শিজ্যাং। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয় রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রায়।

প্রথম কম্পনের প্রায় আধঘণ্টার মধ্যেই আরও দুবার আফটার শক হয় ওই এলাকায়। প্রথমটি ৪.৭ মাত্রায় আফটার শক হয়। পাঁচ মিনিটের মাথায় ফের ৪.৯ মাত্রায় কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। এখানেই শেষ নয়। আরও তিনবার লাগাতার আফটারশক হয় ওই এলাকায়। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার সকালে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ৬ বার কম্পন অনূভূত হয় নেপাল-চীন সীমান্তে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি বলেছে, ডিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।

আঞ্চলিক দুর্যোগ ত্রাণ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ৫৩ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৬২ জন আহত হয়েছেন। চলছে উদ্ধার কাজ। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রবল ঠান্ডার কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা বাড়ছে।

সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে আরও বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে ডিংরি কাউন্টির শহরতলিগুলোতে লোক পাঠানো হয়েছে।

তিব্বত অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু এই কাউন্টিতে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি মাউন্ট এভারেস্টের চীনা অংশে অবস্থিত। এই অঞ্চলে নিয়মিত ভূমিকম্প হয়।

গত ৫ বছরে ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে মঙ্গলবারের ভূমিকম্পই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী।

আরও পড়ুন