“সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুব জিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (…….) টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। পরের বার ফার্মেসি নিয়ে পড়বো। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃঞ্চ।”
সুইসাইড নোটে এই কথাগুলো লিখে আত্মহত্যা করেছে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুব জিৎ কর্মকার (২২)। কলেজের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসআই) বিভাগের তৃতীয়বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল সে।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার এবং সুপ্তা কর্মকার দম্পতির ছেলে ধ্রুব।
রোববার দুপুরে ১টার দিকে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নাম্বার কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় সে বেঁচে নেই।
কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, পরীক্ষার হলে সে নকলসহ ধরা পড়েছিল। পরে সে তার রুমে গিয়ে আত্মহত্যা করে।
ধ্রুব কিছুদিন ধরেই হতাশাগ্রস্ত ছিল বলেও জানান তিনি। “হয়তো পরীক্ষায় নকল নিয়ে ধরা পড়ে সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েছিল।”
ধ্রুবর সহপাঠীরা জানিয়েছে, পরীক্ষার হলে নকল নিয়ে ধরার পড়ার পর বহিষ্কারের ভয়ে স্যারদের পায়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছিল ধ্রুব জিৎ। এরপরই সে হলে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ই বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।