সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তারা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মিন্টো রোডে যমুনার সামনে যান।
পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিতে চাইলেও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। দুপুর আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী সেখানে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন।
যমুনায় যাওয়ার পথে শাহবাগ ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে এগিয়ে যায়। ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা তা ভেঙে যমুনার দিকে রওনা হন।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে শুরু করলে পুলিশ ৭ থেকে ৮ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ও অন্তত দুটি রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীরা কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও তারা আবারও জড়ো হয়ে সড়কে বসে পড়েন।
আন্দোলনের ফলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীদের দুই পাশে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
ঢাকা কলেজের সদ্য স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী আন্দোলনকারী তুহিন মিয়া সমকালকে বলেন, সেশন জট, করোনা ও পুরাতন নিয়মের কারণে আমার শিক্ষা জীবনের প্রায় পাঁচ বছর নষ্ট হয়েছে। ফলে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা হারিয়ে ফেলছি। নিরুপায় হয়ে এই আন্দোলনে আসতে হয়েছে। এটা সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়, ন্যায্য দাবির আন্দোলন।
এর আগে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বেলা ১১টা থেকে অবস্থান নেন।