রোববারের পত্রিকা : ‘দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের পথে সরকার’

newspaper

বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক খবর দিয়ে রোববার সংবাদপত্রগুলো তাদের প্রধান প্রতিবেদন সাজিয়েছে। এর মধ্যে সংস্কার ও নির্বাচনকে কেন্দ্র সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মপরিকল্পনা ও তৎপরতার খবর জায়গা পেয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের প্রধান প্রতিবেদনে। এর পাশাপাশি আগামী এপ্রিলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির শঙ্কা, পুলিশের জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডে ভাটা, লম্বা ছুটিতেও ভোগান্তির শঙ্কা, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি ও ব্যাংক গ্রাহকদের সুরক্ষায় তহবিল গঠনের খবরও গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোতে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রোববার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

কালের কণ্ঠ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অন্তর্বতী সরকারের কর্মপরিকল্পনা ও তৎপরতার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের পথে সরকার’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনী প্রস্তুতি ও রাষ্ট্রের সংস্কারপ্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে চলেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ বাস্তবায়নের দিকে যাবে নাকি ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে এগোবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ওপরই নির্ভর করছে। তবে সরকারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ বাস্তবায়ন করে দ্রুত নির্বাচনে যেতে পারে সরকার। কারণ রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যেসব প্রস্তাব রেখেছে, তাতে ইতিবাচক জবাবের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশও ঘটছে। সে ক্ষেত্রে সংস্কার প্যাকেজ সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

গত ১৭ মার্চ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা এরই মধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।’ এ ছাড়া নির্বাচন আসন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন আসছে, নানা রকম সমস্যা হবে, নানা রকম চাপ আসবে।

প্রথম আলো

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের ছুটিতে মানুষের গ্রামে ফেরা এবং ছুটি শেষে পুনরায় কর্মস্থলে ফেরার ক্ষেত্রে ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘লম্বা ছুটিতেও ভোগান্তির শঙ্কা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ঈদুল ফিতরে টানা ৯ দিনের লম্বা ছুটি। ঘরমুখী মানুষের যাত্রা স্বস্তির হওয়ার প্রত্যাশা সরকারের। কিন্তু দেশের দুটি মহাসড়কে উন্নয়নকাজ, অব্যবস্থাপনা ভোগান্তির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। বিশেষ করে ঈদের আগের দুই দিন যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে আর ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না থাকলে তা যানজটে রূপ নিতে পারে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। এই সড়কের নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদী পর্যন্ত হাটবাজারের কারণে এমনিতেই চাপ থাকে।

সমকাল

সরকার পরিবর্তনের পর জনগণ-পুলিশ ইতিবাচক সম্পৃক্ততায় নানা উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও সম্প্রতি এসব কর্মকাণ্ডে ভাটা দেখা দিয়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘পুলিশের জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডে ভাটা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভেঙে পড়েছিল পুলিশি ব্যবস্থা। নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে পড়তে হয় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে। এখনও পুরো স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেনি পুলিশ। আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বাহিনীটিকে। এমন পরিস্থিতিতেও বন্ধ আছে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম। ওপেন হাউস ডে ও উঠান বৈঠকের মতো কার্যক্রম সেভাবে দৃশ্যমান নয়। ফলে পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব বেড়েছে। জনগণ-পুলিশ ইতিবাচক সম্পৃক্ততার কর্মকাণ্ডে ভাটা দেখা দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জনগণের সঙ্গে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের সম্পর্ক আরও সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশিষ্টজন। তারা বিস্তৃত পরিসরে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি চালু করার কথা বলছেন। জনতার সঙ্গে পুলিশের ভঙ্গুর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে এসব কার্যক্রম ভালো ফল আনতে পারে বলে মনে করছেন তারা। পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশেও জনমুখী ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে আইনি কাঠামোর কথাও বলা হয়েছে

ইত্তেফাক

আগামী এপ্রিল মাস থেকে দেশে ফের ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকলেও তা মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রস্তুতি না থাকার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘এপ্রিল থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপের আশঙ্কা, নেই প্রস্তুতি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করলেই প্রতি বছর অভিযানে নামে দুই সিটি করপোরেশন। এর আগে ডেঙ্গুর জন্মস্থান ও ডেঙ্গু দমনে পূর্বপ্রস্তুতি থাকে না কারোই। এতে পরিপূর্ণ মশা মেরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখা কমানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে গরম। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত সময় এখন। এপ্রিল থেকেই এই অবস্থা আরো বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত বর্ষার আগে থেকেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এ বছর সরকারের আরো জোরালো প্রস্তুতি প্রয়োজন। কিন্তু এ নিয়ে তেমন কোনো প্রস্তুতিই চোখে পড়ছে না।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় ২০০০ সালে। এর পর প্রায় দুই দশক ধরে ডেঙ্গুর বিস্তার ছিল রাজধানী ঢাকায় সীমাবদ্ধ। কিন্তু ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এরপর প্রতি বছরই ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে দেখা গেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুরু থেকেই সরকারের কার্যক্রম বেশ ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ তুলছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এ বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম না থাকায় এবার পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

যুগান্তর

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘ঐক্যের উদ্যোগ নিতে হবে ড. ইউনূসকেশিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ঘটে। গণ-অভ্যুত্থান পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি ও ছাত্র-জনতার অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার উপদেষ্টা পর্ষদ। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের পতনের পর হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এক বার্তায় বলেছিলেন, এখন আর তার মায়ের কোনো দায়িত্ব নেই। আওয়ামী লীগের লোকজনের কি হবে, কি হবে না সেটা তাদের বিষয়।

এমনভাবে পরাজয়ের পর দলটির কোনো নেতা তো দূরের কথা, একজন সমর্থকও ভাবেননি পতনের ৭ মাসের মাথায় এসে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের নিয়ে কেউ আলোচনা করবে। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে সেটা। কেউ কেউ গর্ত থেকে মুখ উঁচিয়ে শব্দ করার চেষ্টা করছেন। অপরদিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা দলের কেউ কেউ কায়দা-কানুন করে কীভাবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনা যায় তা নিয়ে একটু-আধটু বলার চেষ্টা করছেন। এতে করে রাজনৈতিকভাবে ফেরার সুযোগ বা রাস্তা খুঁজতে শুরু করে আওয়ামী লীগ।

বণিক বার্তা

দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স, রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হ্রাস-বৃদ্ধির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।  ‘রেমিট্যান্স ও রফতানি বেড়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২ বিলিয়ন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়। চলতি অর্থবছরে এ দুই খাতেই বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। আর ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে রফতানি আয়ে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান এ দুই উৎসের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতেও রিজার্ভ বাড়ছে না দেশে। আট মাস ধরে রিজার্ভের পরিমাণ ওঠানামা করছে ১৯ থেকে ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম৬ পদ্ধতির হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ মার্চ দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৭৩ কোটি বা ১৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জুলাই রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। সে হিসাবে গত আট মাসে রিজার্ভ না বেড়ে উল্টো ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে। যদিও এ সময়ে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় এসেছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার বেশি। এর মধ্যে গত অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর রফতানি আয় বেশি এসেছে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবে জবাবে বিএনপির প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘রাষ্ট্র সংস্কার করবে সংসদ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র সংস্কার করবে নির্বাচিত সংসদ’, দলীয় এমন অবস্থানের ভিত্তিতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর জবাব প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির পক্ষ থেকে আজ ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে।

সূত্র জানান, ঢালাওভাবে মতামত চাওয়া হলেও যেসব সংস্কার এ মুহূর্তে প্রয়োজন নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে তারা এখন মতামত দিচ্ছে না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ ও কাঠামো তৈরিতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া স্প্রেডশিটে বিস্তারিত সবকিছু উঠে আসেনি। তাই আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে স্প্রেডশিটের পাশাপাশি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিচ্ছি। যাতে কোনোরকম বিভ্রান্তির সুযোগ না থাকে।’

নয়া দিগন্ত

গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক তহবিল গঠন করা হবে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘ব্যাংক গ্রাহকদের স্বার্থে হচ্ছে ‘আমানত সুরক্ষা তহবিল’’শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষায় গঠন করা হবে ‘আমানত সুরক্ষা তহবিল’। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক তহবিল গঠন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পৃথক হিসাবের মাধ্যমে তহবিল পরিচালিত হবে। ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন ২০০০’ এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠিত ‘আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিল’ এ জমাকৃত অর্থ আমানত সুরক্ষা তহবিলে (ব্যাংক কোম্পানি) প্রারম্ভিক জমা হিসেবে স্থানান্তরিত হবে। মোট সুরক্ষিত আমানতের আনুপাতিক হারে তহবিলের আকার নির্ধারিত হবে। প্রত্যেক আমানতকারীর জন্য সর্বোচ্চ সুরক্ষা আমানতের পরিমাণ হবে দুই লাখ টাকা।

‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর মাধ্যমে এই তহবিল গঠন করা হবে। দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও আর্থিক খাতের ওপর জনগণের আস্থা বাড়াতে বিদ্যমান ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন ২০০০’ রহিত করে ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সরকার আমানত সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক আমানত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে। এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়নও করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য একটি পৃথক বিভাগও খোলা হবে।

আজকের পত্রিকা

৫ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা (অপারেশনাল প্ল্যান বা ওপি) কার্যকর না থাকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পড়ছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের স্বাস্থ্যসেবা পড়ছে ঝুঁকিতে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো দীর্ঘমেয়াদি ও অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে সরকারের অন্যতম উদ্যোগ হচ্ছে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) কর্মসূচি। এর অধীনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নারের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের জনসাধারণকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস-বিষয়ক বিভিন্ন জরুরি সেবা দেওয়া হয়। তবে সরকারের ৫ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা (অপারেশনাল প্ল্যান বা ওপি) কার্যকর না থাকায় আট মাস ধরে এনসিডি কর্নারের কার্যক্রমে স্থবিরতা চলছে। আগামী মাসে ওষুধের বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

দেশ রূপান্তর

প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘বেতন বিসিএস গ্রেডে যোগ্যতা স্নাতক’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের প্রবেশ পদের ন্যূনতম বেতন বিসিএস কর্মকর্তাদের মতো নবম গ্রেডে করার পাশাপাশি তাদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করতে বলেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রয়োজনে আইনপ্রণয়ন করাসহ গণমাধ্যম সংস্কারে এক গুচ্ছ সুপারিশ করা হয়েছে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ওই প্রতিবেদন গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্য সদস্যরা প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন।

আরও পড়ুন