পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় চন্ডিপুর ইউনিয়নে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) এবং তার ভাবি মুকুল বেগমকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শহিদুল হাওলাদারের স্ত্রীও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
নিহত শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ইন্দুরকানি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদারের আপন ছোট ভাই। তিনি ইন্দুরকানি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক।
নিহতদের পরিবারের আত্মীয়-স্বজনদের অভিযোগ জামাতের নেতাকর্মীরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
নিহত শহিদুলের মেয়ে সুমনা আক্তার তোয়া জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তার বাবা শহিদুল ইসলাম বাড়ির সামনে পুকুরঘাটে বসে ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী ইউনুস, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, রফিকুলের ভাই লিটন হাওলাদারসহ আরও কয়েকজন মিলে তার বাবার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। চিৎকার শুনে শহিদুলের স্ত্রী রেহানা বেগম ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী মুকুল বেগম দৌঁড়ে গেলে তাদের ওপরও ঝাঁপিয়ে পড়ে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম ও মুকুল বেগম নিহত হন।
শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহানা বেগমকে গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিরোজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন জাহান জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইন্দুরকানি উপজেলায় যুদ্ধ অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বাড়ি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাঈদী জামায়াতের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী।