সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, “কথা বললেই রিমান্ড আর মামলার সংখ্যা বাড়ে, হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে রাখে।”
সোমবার প্রিজন ভ্যান থেকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় ঢোকানোর সময় তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
আকাশি রঙের একটি প্রিজন ভ্যানে বেলা দেড়টার দিকে পলককে ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) সামনে আনা হয়। সেই ভ্যানের একটি রড ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। পরে গাড়িটি আদালতের সামনে থেকে হাজতখানার ভেতরে ঢুকে যায়।
এর ঠিক ১০ মিনিট পর আরেকটি প্রিজন ভ্যানে করে জুনাইদ আহ্মেদ পলককে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে বের করা হয়। সেটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে গিয়ে থামে। প্রিজন ভ্যানের ভেতরে তার দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরায় পুলিশ। পরে তাকে প্রিজন ভ্যান থেকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় ঢোকানো হয়।
জুনাইদ আহ্মেদ পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মক্কেলকে নিয়ে আসা হয়েছে সেই কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি জেল থেকে। উনাকে আজই দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে উনি প্রথম শ্রেণির কারাবন্দীর মর্যাদা পাননি।”
দুদকের মামলায় হাজিরা শেষে আবার পলককে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে রমনা থানায় করা একটি মামলায় সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১২ ডিসেম্বর জুনাইদ আহ্মেদ ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
গত ১৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হন জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বিভিন্ন হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় জুনাইদ আহ্মেদ পলকের ৬৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অন্যদিকে গত ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার হন রাশেদ খান মেনন। এখন পর্যন্ত তার ৩৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।