ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে যারা ডাকযোগে ভোট দেবেন, তাদের ব্যালটে নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক থাকবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ছাড়া নিবন্ধিত অন্যান্য রাজনৈতিক দল ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নিতে পারবে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
ব্যালটে নৌকা প্রতীক থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি কমিশনার বলেন, “যে দল সাসপেন্ড আছে, সেটি বাতিল হয়নি। তবে পোস্টাল ব্যালটে স্থগিত থাকা দলের প্রতীক থাকবে না।”
আসন্ন দুই ভোটে অংশ নিতে কোনো রাজনৈতিক দলকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
কমিশন বলেছে, তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মারামারির দায় ইসির নয়। তবে তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি লঙ্ঘন বা সহিংসতায় জড়ালে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
মুক্তিযুদ্ধ ও একাত্তরকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন সময় বক্তব্য দেওয়া এবি পার্টির মহাসচিব ফুয়াদ সম্প্রতি বরিশালে গিয়ে জনতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এর পর থেকে তিনি বলে আসছেন- ‘নির্বাচনের পরিবেশ নেই’। জামায়াতও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, “একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ বলবে পরিবেশ নেই, আবার অনেকে বলবে পরিবেশ আছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ইসির কবজায় আসবে।”
“তার আগে কোনো দল মারামারি করলে তার দায় কমিশনের ওপর পড়ে না। তবে নির্বাচনে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তখন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।”
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, তার জানামতে এখন আর কোনো কাজ বাকি নেই। শুধু নির্বাচন ব্যবস্থাপনার কিছু আনুষ্ঠানিক কাজ আসবে। আরপিওও প্রকাশিত হবে।
নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আইনে যাদের অংশগ্রহণের যোগ্যতা আছে, তারাই পারবে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করবেন রিটার্নিং অফিসার। কমিশন এখনো কাউকে বাদ দেয়নি।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কী চ্যালেঞ্জ আছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকেই চ্যালেঞ্জগুলো জানাতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের স্থিতিশীলতা, নাগরিকদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আইনশৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমিশনের ধারণা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এই দুই ভোট আয়োজন করতে এখন আর কোনো কাজ বাকি নেই। তফসিল ঘোষণার পর কমিশনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হবে। তফসিলের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণের দায় কমিশনের নয়।”



