বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার দেশের সংবাদপত্রগুলো তাদের প্রচ্ছদ সাজিয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতির সংবাদের পাশাপাশি সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং ‘মব জাস্টিস’ নিয়ে আতঙ্কের খবর গুরুত্ব পেয়েছে কয়েকটি সংবাদপত্রে। এর বাইরে দরিদ্রদের জন্য সরকারের সহায়তা কর্মসূচি কমে যাওয়া, র্যাব-ডিবির ১৭ কর্মকর্তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এবং বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে কর্মবিরতি খবরও গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোতে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বৃহস্পতিবার কোন সংবাদপত্রের কী শিরোনাম এসেছে।

কালের কণ্ঠ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির তৎপরতার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘ঈদের পর মাঠে নামছে তিন দল’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—এই তিন দলই ঈদের পর পৃথক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মূলত দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে-বিপক্ষে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে রাজপথে নামবে দলগুলো।
দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে এরই মধ্যে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি। একই দাবিতে ঈদের পর বিভাগীয় পর্যায়ে আরো সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।
অন্য দুই দলের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী দলীয় নেতার মুক্তি, আওয়ামী লীগের বিচারসহ কয়েকটি দাবিতে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করবে। নতুন দল গণপরিষদ নির্বাচনের চেয়ে কর্মসূচি পালন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। এ ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরেছে। এ দাবিতে কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি সরকারকে আলটিমেটামও দিয়েছে দলটি। জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি নেতাদের বক্তব্য ও কার্যক্রম বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হচ্ছে যে তারা সংসদ নির্বাচনের আগে ব্যাপকভিত্তিক রাষ্ট্র সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচার চায়। এই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে গেলে এই বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চাইছে তারা।

প্রথম আলো
খাদ্যসংকটের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী ও দুস্থ নারীদের সহায়তা এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো খাতগুলোতে খাদ্য বিতরণ কমে যাওয়া সংক্রান্ত খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘দরিদ্র মানুষ ও দুস্থ নারীদের চাল-গমের সহায়তা কমেছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে চালের দাম চড়া। ভালো মানের এক কেজি মোটা চাল কিনতে লাগছে ৫৫ টাকা। সরু চালের দাম অনেক বেশি। এ চড়া দামের মধ্যেই সরকারিভাবে চাল বিতরণ কমেছে। কমেছে গমের বিতরণও।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা ও গরিব মানুষকে সহায়তার ক্ষেত্রে সরকারি খাদ্যশস্য বিতরণকে গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য করা হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারিভাবে চাল ও গম বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ২০ শতাংশ কম।
পরিমাণের দিক দিয়ে চাল ও গমের বিতরণ কমেছে প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার টন। চালের বিতরণ কমেছে প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টন। অন্যদিকে গম ও আটার বিতরণ কমেছে প্রায় ৩৮ হাজার টন।

সমকাল
রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত উদ্যোগের সর্বশেষ তথ্য সংবলিত খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘রাজনৈতিক দলের কোর্টে এখন ‘সংস্কারের বল’’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত জানাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে ‘একমত’, ‘আংশিক একমত’ এবং ‘ভিন্নমত’– এই তিনটি প্রশ্ন রয়েছে। সংস্কার বাস্তবায়নে পাঁচ বিকল্প দিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। বিকল্পগুলো হলো– নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে, নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে, নির্বাচনের সময়ে গণভোটের মাধ্যমে, গণপরিষদের মাধ্যমে এবং নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে। ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্র সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে গত কয়েক দিনে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুদক, জনপ্রশাসন এবং পুলিশ সংস্কারবিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদন একীভূত করে দেওয়া হয়েছে।

ইত্তেফাক
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ‘মব ভায়োলেন্স’ বা ‘মব জাস্টিস’ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। “থামছে না ‘মব ভায়োলেন্স’” শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থামছে না ‘মব ভায়োলেন্স’। পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক আক্রোশ থেকে অথবা ঐ ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির অর্থসম্পদ লুটপাট করাই থাকে মূল লক্ষ্য। এরপর চলে হামলা, লুটতরাজ, গণপিটুনি ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা। একের পর এক চলতে থাকা এ ধরনের ঘটনাকে ‘মব জাস্টিসে’র নামে দায়মুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অনেকেই এটাকে ‘মব জাস্টিস’ বলছেন। আসলে এই ধরনের শব্দ ব্যবহারে দায়মুক্তির সুযোগ তৈরি হয়। এটাকে ‘মব ভায়োলেন্স’ বলা হয়। এটা থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে। ফলে এটাকে অপরাধ হিসেবেই দেখতে হবে। সেই অপরাধের সঙ্গে যতজনই যুক্ত থাকুক না কেন তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যুগান্তর
‘মব জাস্টিস’ ঘিরে সৃষ্ট আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তরও। ‘নতুন আতঙ্কের নাম ‘মব জাস্টিস’” শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মব জাস্টিস’ এখন নতুন এক আতঙ্কের নাম। সংঘবদ্ধ কিছু মানুষের নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতাকে অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায় ‘মব জাস্টিস’ বলা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে এই মব জাস্টিসের নামে কাউকে গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে। যখন-তখন কারও বাড়িতে ঢুকে লুটপাট করা হচ্ছে। কাউকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। কোথাও আবার কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনিক কাউকে জুতার মালা পরিয়ে কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে। বেড়েছে দলবদ্ধ হয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে কাউকে হত্যা করার ঘটনাও। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। মব জাস্টিসের শিকার হচ্ছেন রাজনীতিবিদ, পুলিশ, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বণিক বার্তা
সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতারা ২০১৮ সালের সড়ক আন্দোলন থেকে উঠে এলেও এখন আর সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না– এমন একটি খবরেক প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘সড়ক আন্দোলন থেকে উঠে আসা ছাত্রনেতারা এখন সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছেন না’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে পড়ে ২০১৮ সালে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে ওঠা সে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি করে সড়ক আইন পাস করে তৎকালীন সরকার। সড়ক নিরাপত্তায় নেয়া হয় বিভিন্ন উদ্যোগ। সেগুলোর বেশির ভাগই এখনো রয়ে গেছে অবাস্তবায়িত অবস্থায়।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মূলত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারাই ২০২৪ সালে ছিলেন বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। তাদের নেতৃত্বেই জুলাইয়ে গড়ে ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পতন হয় আওয়ামী লীগের। গঠন হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যাতে শিক্ষার্থীদের প্রভাব দৃশ্যমান। যদিও দেশে এখনো অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছে সড়ক। প্রাণহানি-বিশৃঙ্খলার পরিসংখ্যানও ঊর্ধ্বমুখী। তবে সড়ক আন্দোলন করে উঠে আসা ছাত্রনেতারা এখন আর সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কোনো কথা বলছেন না।

নয়া দিগন্ত
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বিক্ষোভ চলাকালীন ঘটনাবলি নিয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপনের খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়াদিগন্ত। ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে বিক্ষোভ দমনে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি বিগত সরকারের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সহিংস গ্রুপগুলো পদ্ধতিগতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে ছিল শত শত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বাচন আটক ও গ্রেফতার, নির্যাতন এবং নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে এবং নির্দেশনায় বিক্ষোভ দমন করে বিগত সরকারকে ক্ষমতায় রাখার উদ্দেশ্যেই এসব কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় বিক্ষোভকারী ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

দেশ রূপান্তর
গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব ও ডিবির ১৭ কর্মকর্তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তরও। ‘র্যাব-ডিবির ১৭ কর্মকর্তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের (ডিবি) ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) উচ্চপদস্থ ১৭ কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছে গুম কমিশন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১০ জন র্যাব সদস্য, ৪ জন ডিবি সদস্য ও সিটিটিসির ৩ সদস্য।
গুম কমিশন এসব কর্মকর্তার নাম, অপরাধের ধরন এবং বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবহিত করেছে।
গতকাল বুধবার রাতেই এ সুপারিশ কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বহিরাগমন নিয়ন্ত্রণ শাখায় এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

আজকের পত্রিকা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা কী ভাবছেন তা তুলে ধরে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘নির্বাচন নিয়ে তিন মত দলগুলোর’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগবিহীন রাজনীতির মাঠে সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং আরও কয়েকটি দল নির্বাচনের কথা বলছে। তবে আগে জাতীয় সংসদ না স্থানীয় সরকারের নির্বাচন—এ নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও চলছে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে জোর দিলেও বিএনপি চায় ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে সংসদ নির্বাচন। জামায়াত জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সময় দেওয়ার পক্ষে। এর সঙ্গে এনসিপির মিল থাকলেও তারা নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছে।

সংবাদ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগ দাবিতে আজ থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কয়েক দফা দাবি কমিশনের সামনে উপস্থাপন করেন। কিন্তু সেসব দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এমনকি এসব দাবি-দাওয়া নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে কমিশনের পদত্যাগের এক দফা দাবির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজকের (গতকাল) মধ্যে কমিশন পদত্যাগ না করলে কাল (আজ) থেকে বিএসইসির সব শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করবেন।