দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক খবর দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধান প্রতিবেদন সাজিয়েছে দৈনিক পত্রিকাগুলো। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, সে খবরও গুরুত্ব দিয়েছে সংবাদপত্রগুলো। এর বাইরে ঋণের নামে দেশের জন্য আইএমএফের শর্তের ফাঁদ, আশু বাস্তবায়নযোগ্য সব সুপারিশে নির্বাচন কমিশনের একমত না হওয়া, জাপানের সঙ্গে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ (বিগ-বি) প্রকল্প এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহ, সরকারি চাকরি আইন সংশোধন, অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাস পার হলেও শ্রমিকদের স্বার্থ উপেক্ষিত থাকা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও ১৮ খাতের মজুরি কাঠামো হালনাগাদ না হওয়া ও আইন সংশোধন করে জুয়ার শাস্তি বাড়ানোর গুরুত্ব পেয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বৃহস্পতিবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে বা প্রথম পাতায় গুরুত্বের সঙ্গে ছেপেছে।

কালের কণ্ঠ
ঋণের নামে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের ফাঁদে দেশের অর্থনীতি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘আইএমএফের ঋণ: কঠিন শর্তে অর্থনীতির সর্বনাশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণের নামে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের ফাঁদে দেশের অর্থনীতি। কয়েক বছরে মাত্র পৌনে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার জন্য এখন এই সংস্থার শর্তের চাপে পিষ্ট হচ্ছে আর্থিক-রাজস্বসহ বেসরকারি খাতও। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিল্পে ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। নতুন ৩৩টি শর্তের গ্যাঁড়াকলে পড়ে সংস্থাটির মন রক্ষা করতে সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানও গলদঘর্ম। তছনছ হয়ে পড়ছে অর্থনীতির বিদ্যমান কাঠামো। ঋণ পেতে আইএমএফের একের পর এক প্রেসক্রিপশনে কমছে করছাড়, ভর্তুকি। বাড়ছে ভোক্তার করের বোঝা। দেশের বাস্তবতায় কঠিন, তার পরও এমন সব প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে বলা হচ্ছে, যার ফলে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয়ও পরিবর্তন হচ্ছে। এতে বাড়ছে অসন্তোষ। শিল্পের প্রসার ও নতুন বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসার খরচ বেড়ে গিয়ে কাহিল অবস্থায় পড়েছে বেসরকারি খাত। অনেক শর্ত মানার পরও এরই মধ্যে দুটি কিস্তি আটকে দিয়ে টালবাহানা করছে সংস্থাটি। আর কাঙ্ক্ষিত ঋণ না পেয়ে সরকারের ভেতরেই ক্ষোভ-অসন্তোষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। খোদ অর্থ উপদেষ্টাও সংস্থাটির কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে প্রয়োজনে ঋণ না নেওয়া, এমনকি সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা মনে করেন, আইএমএফের শর্ত সব দেশে সমান কাজ করে না। বরং দেশের স্বার্থে সংস্থাটিকে ‘না’ বলার সাহস দেখাতে হবে সরকারকে।

প্রথম আলো
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করার সুপারিশকে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ বলে মনে করছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য সব সুপারিশে একমত নয় ইসি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করার সুপারিশকে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ বলে মনে করছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিক এই সংস্থা মনে করে, নতুন করে নির্বাচনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ করার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে এ সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য হবে। তারা বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে বলে ইসি সূত্র থেকে জানা গেছে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৯টি প্রস্তাবের বেশ কিছু সুপারিশ আশু বাস্তবায়নযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করে গত ১৯ মার্চ ইসিকে পাঠিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এগুলো বাস্তবায়নে কত সময় প্রয়োজন এবং এতে আর্থিক সংশ্লেষ আছে কি না, তা ইসিকে জানাতে বলা হয়েছিল। গতকাল বুধবার সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মতামত পাঠিয়েছে ইসি। তাতে ১০-১২টি সুপারিশের ক্ষেত্রে আশু বাস্তবায়নযোগ্য হিসেবে একমত হয়েছে।

সমকাল
জাপানের সঙ্গে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ (বিগ-বি) প্রকল্প এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘সরকার জাপানের সঙ্গে বিগ-বি প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের সঙ্গে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ (বিগ-বি) প্রকল্প এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে বিগ-বি পরিকল্পনা হাতে নেয় জাপান। ২০২৩ সালে এর ব্যাপ্তি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত বাড়ায় দেশটি। তবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও এ প্রকল্প থামিয়ে রাখতে চায় না ঢাকা।
আগামী ১৫ মে টোকিওতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ষষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কথা বলবে। জাপানের দিক থেকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি, মাতারবাড়ী প্রকল্প এগিয়ে নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে কথা হবে।

ইত্তেফাক
‘সরকারি চাকরি আইন ২০১৮’ সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান আনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘সংশোধন হচ্ছে সরকারি চাকরি আইন: রাজপথে ও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করলে তদন্ত ছাড়াই চাকরি যাবে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার ‘সরকারি চাকরি আইন ২০১৮’ সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান আনতে যাচ্ছে। এতে সাড়ে চার দশক আগের সামরিক আমলে প্রণীত ‘সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ১৯৭৯’-এর কয়েকটি ধারা ফের যুক্ত হচ্ছে। এটি করা হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের রাজপথে সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি বন্ধ করতে। অন্য কর্মচারীকে তাদের কর্মস্থলে যেতে বাধা না দিতে এবং সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ বন্ধ করতে।
সংশোধিত খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী উল্লেখিত অপরাধে অভিযুক্ত হলে কোনো তদন্ত ছাড়াই আট দিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করা যাবে সরকারি কর্মচারীদের। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ এ সংশোধনের কাজ করছে। সংশোধিত খসড়া আইন শিগগির উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।

যুগান্তর
মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতের ৪ রাফায়েল যুদ্ধবিমানকে একসঙ্গে ধাওয়া করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ)– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর।‘ভারতীয় বিমানকে ধাওয়া’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রণসাজের বিউগল বাজছে ভারত-পাকিস্তান ভূখণ্ডে। কাঁটাতারের দুই পারেই যুদ্ধের দামামা। সেয়ানে সেয়ানে টেক্কা। ট্যাংক-টহলের দুর্গম দৌড়ে গমগম করছে লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) ৭৮০ কিলোমিটার সীমান্ত। সাম্বা, কাঠুয়া, আখনুর সেক্টরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো খালি করছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। একই অবস্থা ওপারেও। টানটান উত্তেজনা। মহড়ার গোলাবারুদের ফুলকিতে গনগনে লাল হয়ে উঠছে পরমাণু শক্তিধর দুই শত্রুর কামান-বন্দুকের নল। যুদ্ধ-পারদে দিশেহারা বুটের দাপটে কাঁপছে সীমান্তের চেকপোস্ট-টাওয়ারের মাটি। পরিখার আড়ালে বন্দুক তাক করে আছে দুপক্ষই। পেছনে ওতপেতে আছে দুদেশ চৌচির করে দেওয়া বিরাট সাঁজোয়া বহরের সারি। মাথার উপরে আকাশ কাঁপিয়ে বিকট শব্দে উড়ছে সামরিক হেলিকপ্টার। পরক্ষণেই আবার সাঁই করে উড়ে যাচ্ছে বিমানবাহিনীর যুদ্ধদানব। মঙ্গলবার গভীর রাতে এমনই এক টগবগে মুহূর্তে ভারতের ৪ রাফায়েল যুদ্ধবিমানকে একসঙ্গে ধাওয়া করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ)। এলওসিতে হঠাৎ ভারতীয় যুদ্ধবিমানের গন্ধ পেয়ে গর্জে ওঠে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। মারমুখী ধাওয়ার মুখে পিছু হটে রাফায়েল। সীমান্ত ছেড়ে ফিরে যায় ঘাঁটিতে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের বড় ভূমিকা থাকলেও তাঁদের মূল সমস্যাগুলো সমাধান বা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাস: শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় নয় মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকারকে যে বিষয়গুলো সামলাতে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে তার মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ অন্যতম একটি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন কারখানা একের পর এক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত বেতন-ভাতা না পেয়ে যে শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় তা সামাল দিতে পারছে না সরকার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের বড় ভূমিকা থাকলেও তাঁদের মূল সমস্যাগুলো সমাধান বা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে। উল্টো শ্রমিক অসন্তোষ দমাতে গিয়ে আশুলিয়ায় ও মিরপুরে শ্রমিকদের ওপর নির্বিচার গুলি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বর্তমানে ১ লাখের বেশি শ্রমিক বেকার। শ্রমিকদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কোনোটিই কার্যকর হয়নি বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান শ্রমিকনেতারা। সর্বশেষ শ্রমিকদের স্বার্থে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বিভিন্ন সুপারিশ করা হলেও এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে তাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

বণিক বার্তা
দেশের ৪৩টি খাতের ন্যূনতম মজুরি সরকার নির্ধারণ করে দিলেও এর মধ্যে ১৮টি খাতের মজুরি কাঠামোর হালনাগাদ হয়নি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতিতেও হালনাগাদ নয় ১৮ খাতের মজুরি কাঠামো’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৪৩টি খাতের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এর মধ্যে ১৮টি খাতের মজুরি কাঠামোর হালনাগাদ হয়নি। তাছাড়া সিরামিক, পোলট্রি, ব্যাটারি প্রস্তুতকারক এবং রঙ ও কেমিক্যাল কারখানা নতুন খাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেও নির্ধারণ হয়নি শ্রমিক ও কর্মচারীর নিম্নতম মজুরি। অথচ ঊচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত তিন বছর জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সর্বশেষ মার্চেও দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঋণের সুদহার বাড়িয়ে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও কমছে না উচ্চ মূল্যস্ফীতি। উল্টো কমছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। এক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের প্রায়ই বেতন সমন্বয় করা হলেও বাড়েনি বেসরকারি অনেক খাতের শ্রমিকদের মজুরি। প্রতি পাঁচ বছরে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার কথা থাকলেও হালনাগাদ হয়নি ১৮টি খাতে।

কালবেলা
দেড়শ বছর পুরোনো ‘দ্য গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭’ বাতিল করে হালনাগাদ তথ্যপ্রযুক্তির চিন্তা মাথায় রেখে ‘জুয়া প্রতিরোধ অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালবেলা। ‘বাতিল হচ্ছে দেড়শ বছরের আইন : জুয়ার শাস্তি বাড়ছে ২ হাজার গুণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেড়শ বছর পুরোনো ‘দ্য গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭’ বাতিল করে হালনাগাদ তথ্যপ্রযুক্তির চিন্তা মাথায় রেখে ‘জুয়া প্রতিরোধ অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নতুন অধ্যাদেশে শাস্তির পরিমাণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই হাজার গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। অনলাইন অ্যাপ ও সাইটে পরিচালিত জুয়ার জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। পুরোনো আইনে অনলাইন জুয়ার প্রসঙ্গ ছিল না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৮৬৭ সালের জুয়া আইনে শাস্তি একেবারেই কম। অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাস কারাদণ্ড। আর সর্বোচ্চ জরিমানা ৬০০ টাকা। ফলে আইনটি বাতিল করে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার জন্য পুরোপুরি নতুন করে প্রস্তুত করা হয়েছে। অধ্যাদেশে অনলাইন জুয়াকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করে ভেটিংয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং শেষে অনুমোদনের জন্য শিগগির উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।

নয়া দিগন্ত
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হলে রাখাইনে মানবিক করিডোর চালু করতে পারে জাতিসঙ্ঘ– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত।‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হলেই মানবিক করিডোর চালু’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হলে রাখাইনে মানবিক করিডোর চালু করতে পারে জাতিসঙ্ঘ। উভয় দেশের অনুমতি ছাড়া মানবিক করিডোর তৈরিতে জাতিসঙ্ঘ সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
গতকাল জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর (ইউএনআরসি) কার্যালয় থেকে এ কথা বলা হয়েছে।
ইউএনআরসি কার্যালয় জানায়, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে কোনো সহায়তা পাঠাতে প্রথমে দুই সরকারের সম্মতি প্রয়োজন। রাখাইনে নাজুক জনগোষ্ঠীকে সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেয়ার জন্য জাতিসঙ্ঘকে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নিতে হয়। আন্তঃসীমান্ত সহায়তার ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘের জন্য এ বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অনুমতি ছাড়া মানবিক করিডোর তৈরিতে জাতিসঙ্ঘ সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

দেশ রূপান্তর
আইনের তোয়াক্কা না করে, নাগরিক অধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ‘অস্থায়ী হাটের’ নামে বছরের পর বছর সড়ক ও ফুটপাত ‘ভাড়া’ দিচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘সড়ক-ফুটপাত ‘ভাড়া’ দিয়ে পৌরসভার হাট!’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক তৈরি করা হয় গাড়ি চলাচলের জন্য। ফুটপাত তৈরি করা হয় সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য। প্রশ্ন উঠতে পারে এটা নতুন করে বলার আর কী আছে? কিন্তু এমনটাও বলতে হচ্ছে। কারণ আইনের তোয়াক্কা না করে, নাগরিক অধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ‘অস্থায়ী হাটের’ নামে বছরের পর বছর সড়ক ও ফুটপাত ‘ভাড়া’ দিচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা। জনবহুল এলাকায় ইজারা দিয়ে বাজার বাসানোর কারণে মানুষের চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটছে তেমনি সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র পৌরসভা নয়, রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলেই সড়ক বা ফুটপাতে দোকান বাসাতে পারে না। ফুটপাত সম্পূর্ণ নাগরিকদের অধিকার। এখানে দোকান বাসানোর এখতিয়ার কারও নেই। ইজারা দিলেও ফুটপাতে বাজার বাসনো কোনোভাবেই বৈধতা পাবে না। ফলে অবিলম্বে ফুটপাত জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।