বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দুই দেশের সম্পর্কে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে সেগুলো মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রবিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত অষ্টম ভারত মহাসাগর সম্মেলনের (আইওসি) ফাঁকে তাদের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে বাসস।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘উভয় পক্ষ স্বীকার করেছে যে প্রতিবেশী দুটি দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এবং সেগুলো মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।’
বৈঠকে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নে আলোচনা শুরুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। একইসঙ্গে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) স্থায়ী কমিটির বৈঠক আহ্বানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি এ বিষয়ে ভারতের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়েও মতবিনিময় করেন জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সমাধানের ব্যাপারে উভয়পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক পার্শ্ববৈঠকে সর্বশেষ তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেপ্টেম্বরের সেই সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে বৈঠক তারা উল্লেখ করেন, এরপর থেকে দুই দেশ একাধিক দ্বিপক্ষীয় সংলাপে অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ বৈঠকও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ ছাড়া গত ১০-১১ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘ইন্ডিয়া এনার্জি উইক’ আয়োজনে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টার অংশগ্রহণের বিষয়টিও তারা স্মরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আইওসির বৈঠকের ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ব্রুনাইয়ের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তানজানিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এ ছাড়া সোমবার ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।