বিভিন্ন বিষয়ের খবর দিয়ে মঙ্গলবার সংবাদপত্রগুলো তাদের প্রধান প্রতিবেদন করেছে। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র। এর পাশাপাশি দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের অগ্রগতি, ধর্ষণের বিচারে আইনে পরিবর্তন আনার ও বিবিএস পরীক্ষার সিলেবাস যুগোপযোগী করার উদ্যোগের খবরও গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে সংবাদপত্রগুলো। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মঙ্গলবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

যুগান্তর
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘সামনে বাম, পেছনে আওয়ামী লীগ’শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বামদের ওপর ভর করে দেশকে অস্থিতিশীল করার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, রাহাজানিসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের ইস্যুকে সামনে রেখে বাম রাজনৈতিক দল এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নামানো হচ্ছে।
একই সঙ্গে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গণজাগরণ মঞ্চের সেই কুশীলবরাও। যারা প্রায় নিয়মিত শাহবাগ, জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণ, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন মোড় প্রভৃতি এলাকায় সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করছে। এসব সংগঠনের কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে আওয়ামী দোসররা। এজন্য বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, বাস্তবতা হলো-সামনে বাম, পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগ। আর নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছে আমাদের বন্ধুপ্রতিম একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র।

প্রথম আলো
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আপত্তি জানানোর খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে ভিন্নমত ইসির’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে আগেই আপত্তি তুলেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার তারা ১০টি ক্ষেত্রে অন্তত ২৮টি সুপারিশের বিষয়ে নিজেদের ভিন্নমত লিখিতভাবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে তুলে ধরেছে। ইসি মনে করে, সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সাংবিধানিক এই সংস্থার স্বাধীনতা খর্ব হবে।
নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে গতকাল সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বরাবর চিঠি পাঠায় ইসি। সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আপত্তি জানিয়ে ইসির চিঠি ও তাদের কিছু কার্যক্রম সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাচ্ছে কি না, সে প্রশ্ন সামনে এসেছে। কারণ, ইতিমধ্যে ইসি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগেই নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। ইসি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আছে। ইসি, রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের মতামত, জরিপ ও নিজেদের পর্যালোচনার ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।

সমকাল
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকালও। ‘নির্বাচন এলে সবাই বেপরোয়া হয়, শক্ত থাকার নির্দেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে হবে। যেহেতু নির্বাচন আসছে; নানা সমস্যা হবে, নানা চাপ আসবে। সবাই বেপরোয়া হয়ে যাবে। পুলিশকে সেখানে শক্ত থাকতে হবে। আইনের ভেতরে থাকতে হবে। পুলিশ কর্মকর্তাদের দল-মতের উর্ধ্বে থেকে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
গতকাল সোমবার পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকে তিনি কর্মকর্তাদের নানা নির্দেশনা দেন। এতে পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম তাঁর বক্তব্যে বাহিনীকে সেবামুখী করতে এবং পুরোপুরি সঠিক ধারায় ফেরাতে স্বাধীন কমিশনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্বাধীন অথবা স্বশাসিত কমিশন এই সময়ে গঠন করতে না পারলে পুলিশ তার পুরোনো নেতিবাচক চরিত্রে ফিরে যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ বাহিনী পরিচালনায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, দাবি ও আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এ ধরনের বৈঠক এই প্রথম। এতে যে কোনো প্রভাবের বাইরে থেকে চাপমুক্ত হয়ে নির্ভয়ে কাজ করার বার্তা পেল পুলিশের মাঠ প্রশাসন। বৈঠকের পর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এ বৈঠকেদা মধ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যরা উজ্জীবিত হবেন।

কালের কণ্ঠ
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠও। ‘হাতে বেশি সময় নেই ডিসেম্বরে নির্বাচন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা এরই মধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।’
গতকাল সোমবার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের ১২৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এ ছাড়া নির্বাচন আসন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন আসছে, নানা রকম সমস্যা হবে, নানা রকম চাপ আসবে। অনেকে ডেসপারেট হয়ে যাবে, আমার কেন্দ্রে জেতাতে হবে, ওর কেন্দ্রে জেতাতে হবে। সেখানে পুলিশ আইন মানাতে চাইলে তারা খেপাখেপি করবে। আমাদের সেখানে শক্ত থাকতে হবে, আইনের ভেতরে থাকতে হবে, যাতে যে সরকার নির্বাচিত হয়ে আসবে, সে সরকার আইনের সরকার হয়। যে আইন ভেঙে আসবে, সে কখনো আইন ধরে রাখতে পারবে না। কারণ আইন ভাঙাই তার অভ্যাস।’
প্রধান উপদেষ্টার গতকালের এই বক্তব্যে অনেকেরই ধারণা, অন্তর্বর্তী সরকার ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’-এর দিকেই যাচ্ছে।

ইত্তেফাক
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আপত্তি জানানোর খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাকও। ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আপত্তি ইসির’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে মনে করছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে গেলে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হবে। কিছু ধারা অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঘটবে এবং অহেতুক প্রশ্নবিদ্ধ হবে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ভিন্নমত জানিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠনো হয়েছে। ভিন্নমত পোষণ নয় কি দশটা হবে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে মতামত দেওয়ার কারণই হচ্ছে ইসির ক্ষমতা খর্ব হওয়ার জন্য। খর্ব না হলে তো পাঠাতাম না। কমিশনের ভিন্নমত প্রকাশ করার সুযোগ আছে, সেখানে মতামত দিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘পুলিশকে শক্ত থাকার বার্তা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশকে শক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। পুলিশের শীর্ষ ১২৭ কর্মকর্তার মাধ্যমে পুরো বাহিনীকে দলনিরপেক্ষ থাকার স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার প্রধান। বিশেষ বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, ‘কোনো ছাত্রসংগঠন এবং কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি যেন পুলিশ অনুরাগী না হয়। এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে সেখানে কোনো দলের পক্ষে কাজ নয়। মোকাবিলা করতে হবে যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ওইসব দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

নয়া দিগন্ত
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের যে উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে, তাতে মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত থেকে যেতে পারে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘মৌলিক সংস্কার প্রসঙ্গে দ্বিমত থেকে যেতে পারে’শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বড় দলগুলো এখনো তাদের মতামত ঐকমত্য কমিশনের কাছে জমা দেয়নি। তবে বিএনপি ও জামায়াতসহ সব বড় দল এটি নিয়ে কাজ করছে। তারা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ব্যাপারে তাদের মতামত জানাবে।
এর মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে তাদের আলোচনা শুরু করবে। এর পর স্বাধীনতা দিবস ও ঈদসহসহ ১০ দিন ছুটির জন্য আলোচনা মুলতবি থাকবে। ছুটির পর সিরিজ আলোচনা চালাবে ঐকমত্য কমিশন। ঈদের আগেই বিএনপি জামায়াত ও সিটিজেন পার্টিসহ বড় দলগুলোর মতামত পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘বদলাচ্ছে বিসিএসের সিলেবাস’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনও বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগে তিন ধাপে প্রার্থী বাছাই করা হয়। এগুলো হলো প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
পিএসসির সূত্র বলেছে, বিসিএসের সিলেবাস বদলের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনার জন্য কমিশনের নবম বিশেষ সভায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিটি গঠন করা হয় এবং পিএসসির একজন সদস্যকে এর আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ইতিমধ্যে একটি বৈঠক করেছে। তবে পিএসসিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও কিছু সদস্য বাদ পড়ার কারণে ‘সিলেবাস রিভিউ কমিটি’ পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যসংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দেশ রূপান্তর
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন), অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার খবরটিকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘ধর্ষণের বিচারে নতুন ধারা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমিয়ে আনা, ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সনদের ভিত্তিতে মামলার কাজ চালানোসহ বেশ কিছু নতুন বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর ব্যাপারে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি শিশু ধর্ষণের বিচার দ্রুত্ব শেষ করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করার বিধান রাখা হচ্ছে আইনে।
অন্যদিকে নারী ও শিশু নির্যাতনসংক্রান্ত অপরাধ নির্ণয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আপাতত চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে দুটি ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে।
গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন), অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

কালবেলা
জুলাই-আগস্টে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে করা মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রমে অগ্রগতির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালবেলা। ‘আগে শুরু হবে আশুলিয়ায় ‘লাশ পোড়ানোর’ বিচার’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়ন, গুম-খুন, জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হচ্ছে। প্রসিকিউশনের (রাষ্ট্রপক্ষের) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে ১৪১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এসব পরোয়ানা জারি করেছেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ৫১ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের পর এই ট্রাইব্যুনালেই তাদের আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। এরই মধ্যে চারটি মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ঈদের পরপরই এসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
এই চারটি মামলার মধ্যে রয়েছে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারের আশুলিয়ায় হত্যার পর ছয়টি লাশ পোড়ানোর অভিযোগ, রাজধানীর চানখাঁরপুলে চালানো গণহত্যার অভিযোগ, রাজধানীর রামপুরায় চালানো গণহত্যার একটি অভিযোগ এবং শেখ হাসিনা ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগে করা মামলাটি। আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ ছাত্রের লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে করা মামলাটির বিচার কার্যক্রম আগে শুরু করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।